সিরাজগঞ্জে যুবক-যুবতীর ‘আত্মহত্যা’, পুলিশ বলছে ‘প্রেমিক-প্রেমিকা’
- সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৪:২৬ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলায় এক যুবতী তার প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর শোনার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনা জানাজানির পর এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
মৃতরা হলেন শাহজাদপুর শহরের সাহাপাড়ার বাসুদেব দাসের মেয়ে সুদীপ্তা দাস কেকা (২৬) ও একই উপজেলার গাড়াদহ গ্রামের বিকাশ কর্মকারের ছেলে হৃদয় কর্মকার মদন (৩০)।
হৃদয় একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে বগুড়ার ঠনঠনিয়া হিন্দুপাড়ায় একটি বাসায় ভাড়া বাসায় থাকতেন; সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত দশটার দিকে ওই বাড়ির নিজ শয়ন কক্ষে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে বগুড়া শহরের বনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘হৃদয়ের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’
আর শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবু সাঈদ বলছেন, “মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে কণ্ঠশিল্পী সুদীপ্তা দাস কেকা নিজ বাড়িতে ‘অতিরিক্ত গ্যাসের ট্যাবলেট’ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।’
‘প্রথমে তাকে স্থানীয় দুইটি হাসপাতাল ও পরে সিরাজগঞ্জে নেওয়া হয়। এক পর্যায়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বগুড়ায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’
রাতেই কেকার লাশ উদ্ধারের করে থানায় রাখা হয়। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে তা ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ বলছে, ‘কেকা শাহজাদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এবার অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় ‘পূরবী সংগীত বিদ্যালয়ের’ কণ্ঠশিল্পী ছিলেন এবং সংগীতে রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। আর হৃদয় বিবাহিত এবং তার পরিবারে স্ত্রী ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
আবু সাঈদ বলেন, ‘দুইটি আত্মহত্যার ঘটনায় পরিবারের কেউ মুখ খুলছে না। তবে, আমরা জানতে পেরেছি কেকার সঙ্গে শহরের প্রাণনাথপুর গ্রামের মন্নাফ ফকিরের ছেলে কণ্ঠশিল্পী আসাদেরও সম্পর্ক ছিল।’
‘ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমের কারণে পারিবারিক দ্বন্দ্ব হওয়ায় হৃদয় আত্মহত্যা করেছেন। আর সেটি জানার পরই তার প্রেমিকা কেকাও আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। ঘটনার পর থেকে কেকার আরেক প্রেমিক আসাদ আত্মগোপনে রয়েছেন। আমরা সব দিক বিবেচনায় নিয়ে ঘটনার তদন্ত করছি।’
আসাদ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে টাকার বিনিময়ে গান করার পাশাপাশি প্যাড বাজান। কেকার সঙ্গে তার প্রেমের বিষয়টি সংগীতাঙ্গনের সবাই জানত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।