নোয়াখালী বিভাগ দাবিতে ডিসি অফিস ঘেরাও
- নোয়াখালী প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৫:২৯ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

নোয়াখালীকে পৃথক প্রশাসনিক বিভাগ ঘোষণার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে জেলা শহর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। “নোয়াখালী বিভাগ চাই”, “নোয়াখালীর অধিকার চাই” এবং “বিভাগ না পেলে আন্দোলন চলবে” লেখা ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা, যা চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
বিক্ষোভকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালীবাসীর প্রাণের দাবি হয়ে রয়েছে একটি নিজস্ব প্রশাসনিক বিভাগ। কিন্তু এত বছরেও সেই দাবি পূরণ হয়নি। তাদের মতে, এখন সময় এসেছে সরকারিভাবে 'নোয়াখালী বিভাগ' ঘোষণা করার, যা এই অঞ্চলের দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান ঘটাবে।
নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখু বলেন, “চট্টগ্রাম থেকে এত দূরে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা অত্যন্ত কষ্টকর। আমরা কুমিল্লা বিভাগের অংশ হতে চাই না। নোয়াখালী বিভাগ হলে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে নতুন গতি আসবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি, দাবি পূরণ না হলে কর্মসূচি আরও বর্ধিত হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, “নোয়াখালীর ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতির আলাদা পরিচয় দিয়েছে। প্রশাসনিক স্বীকৃতি হিসেবে ‘নোয়াখালী বিভাগ’ এখন সময়ের দাবি। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরকে নিয়ে নতুন বিভাগ গঠন করতে হবে, নয়তো আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”
কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সেখানে ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো, জামায়াতে ইসলামীর নোয়াখালী শহর শাখার আমির মাওলানা মো. ইউসূফ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নোয়াখালী দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি মাওলানা ফিরোজ আহমেদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবের আহমেদ, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান নোমান, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুজ জাহের, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. ওয়াসিম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মেহেদী হাসান সীমান্ত প্রমুখ।
আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত না এলে আগামী দিনে কর্মসূচি আরও বড় পরিসরে নেওয়া হবে।