সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অন্তর্বর্তী প্রশাসকের অধীনে পরীক্ষাসহ ৯ দাবি
- শিক্ষা ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:০৮ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২৫

রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা পরিচালনা সহ ৯ দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) তারা ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্তী প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।
শিক্ষার্থীরা জোর দিয়ে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। বরং নিজ নিজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং এর পূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রস্তুতি ও খাতা মূল্যায়নও সাত কলেজের শিক্ষকরা করবেন।
অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস উল্লেখ করেন, যদি পরীক্ষা না হয়, তবে আট মাস পিছিয়ে যাবে। ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত কিছু হবে না। অধ্যাদেশ না জারি হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। আমি রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে পরীক্ষা দিতে বলেছি। ফি কমানোর যৌক্তিকতা থাকলে অবশ্যই কমানো হবে।
শিক্ষার্থীদের প্রধান ৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
১. পরীক্ষা অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পরিচালনা।
২. রেজিস্ট্রেশনের সকল অর্থ ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে জমা।
৩. নিজ নিজ কলেজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়া।
৪. প্রশ্নপত্র তৈরি ও খাতা মূল্যায়ন সাত কলেজের শিক্ষকদের দ্বারা সম্পন্ন।
৫. ৪০ কার্যদিবসের মধ্যে ফল প্রকাশ, নন-প্রমোটেডদের জন্য সম্পূরক পরীক্ষা ও সিজিপিএ শর্ত বাতিল।
৬. উপাচার্য নিয়োগের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সব তথ্য হস্তান্তর।
৭. দাবিসমূহ মেনে নিলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি।
৮. বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সব তথ্য শুধুমাত্র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে প্রকাশ।
৯. অধ্যাদেশ জারির পর শিক্ষার্থীদের তথ্য নিজস্ব সার্ভারে স্থানান্তর ও নির্ধারিত ডিজাইনের আইডি কার্ড প্রদান।
অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস শিক্ষার্থীদের দাবির প্রসঙ্গে বলেন, আমার কর্তৃপক্ষ হলো ইউজিসি। ইউজিসিকে জানালে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মের বাইরে যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন হয় না। যদি পরীক্ষা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে হয়, তবে ছাত্র ও শিক্ষক বিরোধিতায় পড়বেন। হঠাৎ সিস্টেম পরিবর্তন করলে কেউ পরীক্ষা দিতে পারবে না।
গত ২৬ মার্চ সরকার সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজকে একত্রিত করে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার ঘোষণা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এই নতুন প্রতিষ্ঠানের নাম নির্ধারণ করেছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’।