বাংলাদেশের শতাধিক ওয়েবসাইটে হামলার দাবি ভারতীয় হ্যাকার গ্রুপের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১১:৪১ এম, ১৬ আগস্ট ২০২৫

শুক্রবার ভারতের একাধিক হ্যাকার গ্রুপ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ঢাকা ওয়াসাসহ শতাধিক বাংলাদেশি ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চালিয়েছে। হ্যাকাররা তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে বিভিন্ন কোম্পানি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আংশিক তথ্য প্রকাশের দাবি করেছে। বাংলাদেশ ছাড়াও তারা পাকিস্তান ও মালয়েশিয়াতেও হামলার কথা জানিয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, হ্যাকার গ্রুপগুলো কয়েকদিন ধরে এই হামলার হুমকি দিচ্ছিল। তবে বাংলাদেশ সরকার হামলা প্রতিরোধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এর আগে ২০২৩ সালের ১৫ আগস্টও ভারতীয় হ্যাকাররা আগাম ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশে সাইবার হামলা চালিয়েছিল।
তদন্তে দেখা গেছে, ‘সেভেন প্রক্সি’ নামের একটি হ্যাকার দল এনবিআরে হামলা চালিয়েছে। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত এনবিআরের ওয়েবসাইট চালু ছিল। এই গ্রুপ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ওয়েবসাইটেও হামলা চালিয়ে তিন হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর তথ্য চুরির দাবি করেছে। তারা স্বাস্থ্য বিভাগের এনটিসিপি এবং বোয়ালখালি ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইটেও হামলার দাবি তুলেছে।
‘নাইট হান্টার’ নামে অন্য একটি গ্রুপ বেসরকারি কনফিডেন্স গ্রুপের ওয়েবসাইটে হামলার কথা জানিয়েছে। তাদের দাবি, কনফিডেন্স গ্রুপ ভারতে সাইবার হামলার সঙ্গে জড়িত।
‘ট্রোজান ১৩৩৭’ নামের একটি হ্যাকার দল সাভার ও রোহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইট দখল করেছে। তারা জানিয়েছে, দেশের ২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে হামলা চালিয়ে তথ্য চুরি করেছে।
একই সঙ্গে ঢাকা ওয়াসার ওয়েবসাইটে হামলা চালিয়ে তথ্য নিয়ে দেড় মিনিটের একটি ভিডিও অপর হ্যাকার গ্রুপের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, “সরকারি ওয়েবসাইটের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। নিয়মিত দুর্বলতা মূল্যায়ন হয় না। অনেক সাইট কেবল নামকাওয়াস্তে তৈরি করা হয়, দক্ষ প্রোগ্রামারের বদলে নতুনদের দিয়ে কাজ করানো হয়। এ কারণে ওয়েবসাইটগুলো সহজে হ্যাক হয়।”
তিনি আরও বলেন, “ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা বাড়াতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, অ্যাপ্লিকেশন আপডেট এবং ন্যূনতম নিরাপত্তা স্তর (এসএসএল সনদ) থাকা জরুরি। পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের কারণে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।”
এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবেরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।