পার্লামেন্ট একটু পরিবর্তন হচ্ছে, দুটা ভাগ থাকবে: মির্জা ফখরুল
- ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৪:৪৬ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এবার দুটি সংসদ থাকবে; একটি নিম্নকক্ষ, আরেকটি উচ্চকক্ষ। নিম্নকক্ষে আমরা যারা নির্বাচনে অংশ নেব, তারা নির্বাচিত হয়ে যাবো। আর যে দলগুলো সংসদে যাবে, তাদের প্রাপ্ত আসনসংখ্যার ভিত্তিতে তারা উচ্চকক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে এক সভায় ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় মাদ্রাসার শিক্ষক, মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, “আপনারা দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেন নি। আমরা যে লড়াইটা করেছি, সংগ্রামটা করেছি, ছেলেরা যে কারণে প্রাণ দিয়েছে এটা একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটা আপনারা সবাই বুঝেন, আপনারা যা বলবেন সেটাই। অর্থাৎ আপনারা ভোট দিবেন আপনার পছন্দের প্রার্থীকে। সে প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে যাবেন। পার্লামেন্টে গিয়ে জনগণের কথা বলবে, আপনাদের কথা বলবে। এটাকে আমরা বলি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা।”
তিনি আরও বলেন, “এবারের এ ব্যবস্থাটার একটু পরিবর্তন হচ্ছে। এবারে দুইটা পার্লামেন্ট থাকবে। একটা নিম্নকক্ষ আরেকটাকে বলে উচ্চকক্ষ। নিম্নকক্ষে আমরা যারা যাবো তারা নির্বাচিত হয়ে যাবো। আর উচ্চকক্ষে যে দলগুলো পার্লামেন্টে যাবে তাদের যে প্রতিনিধির সংখ্যা থাকে সে অনুযায়ী তারা উচ্চকক্ষে যাবে। এরপরেও বিভিন্ন সেক্টরের কিছু মানুষ যাবে। যেমন হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ। আলেম সমাজের কিছু মানুষ। আমাদের বিদ্বান, পণ্ডিত মানুষ যারা আছেন তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। তারাও সেখানে থাকবে। এভাবে এমন একটা পার্লামেন্ট হবে; যে পার্লামেন্ট সত্যিকার অর্থে জনগণের কথা বলবে। এটা একটা দলের কর্তৃত্ব থাকবেনা। এটা নিয়ম মাফিক, যেটা আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলি। ফলে যেটা ১৫ বছর দুঃশাসন হয়েছে, ফ্যাসিজম হয়েছে সে জিনিসটা থেকে আমরা বের হবো।”
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, “৫ আগস্টে যে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান দেশ নতুন করে সাজানোর সুযোগ হয়েছে। আমরা নতুন করে দেশটা সাজাতে চাই। অনেক মত থাকবে, অনেক মত একমত হবে না। মতগুলোকে পার্লামেন্টে আনতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে মানুষ একটা সিদ্ধান্ত পাবে। দেশটা সেভাবে চলবে। আমরা এ কথাটা বারবার বলছি যে, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। এখানে সকল ধর্মের মানুষ থাকবে। এখানে যারা হিন্দু আছেন তারা হিন্দু ধর্ম পালন করবে, তাদের মন্দির সুরক্ষিত থাকতে হবে। যারা ইসলাম ধর্ম পালন করে তাদের মসজিদ সুরক্ষিত থাকতে হবে। মানুষের কথা বলার সুযোগ সুরক্ষিত থাকতে হবে। এই যে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলে থাকাটাই আমাদের বাংলাদেশ।”