‘নোংরামির অংশ হতে চাই না’ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে বললেন তামিম


‘নোংরামির অংশ হতে চাই না’ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে বললেন তামিম

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা। সাবেক জাতীয় দলপতি তামিম ইকবাল শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিসিবিতে সরাসরি ভূমিকা রাখার আগ্রহ দেখানো এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এবার সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে অবিচল থেকেছেন, যার পেছনে রয়েছে গভীর অসন্তোষ।

বিসিবির ৬ অক্টোবরের নির্বাচন সামনে রেখে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তামিম। তবে গতকাল থেকেই তার প্রার্থিতা নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল। আজ সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন তিনি।

আজ বিসিবি কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সামনে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন তামিম। বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আজকে আমরা আমাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। আমি সহ আমরা ১৪-১৫ জনের মতো আমরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। প্রত্যাহার করার কারণটা খুবই পরিষ্কার। আমার মনে হয় না খুব বিষদভাবে বা ব্যাখ্যা করে আপনাদের কিছু বলার আছে।’

তামিম বিসিবির এই নির্বাচনকে ‘নির্বাচন’ বলতেই নারাজ। তার ভাষায়, ‘আমি শুরু থেকেই বলে আসছিলাম, নির্বাচন কোন দিকে যাচ্ছে, কীভাবে কী হচ্ছে, তা নিয়ে আপনারা সবাই এখন খুব পরিষ্কার। যখন যা মনে হচ্ছে তখন তা করা হচ্ছে। এটা আসলে নির্বাচন না। ক্রিকেটের সঙ্গে এটা কোনো দিক থেকেই মানায় না।’

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কারণ সম্পর্কে তামিমের ব্যাখ্যা স্পষ্ট। বলেন, ‘আপনারা যখন ইসি চূড়ান্ত তালিকা দেবে, তখন সে তালিকা দেখলেই বুঝবেন যারা সরে গেছেন তাদের সবাই হেভিওয়েট। এটা আমাদের মতো করে আমাদের প্রতিবাদ যে এই নোংরামির অংশ হয়ে আমরা থাকতে পারব না। বাংলাদেশের ক্রিকেট এটা ডিজার্ভ করে না। দেশের ক্রিকেট ভক্তরাও এটা ডিজার্ভ করেন না।’

সাবেক এই অধিনায়ক আরও জানান, শুধু তিনিই নন, আরও অনেকেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বিভিন্ন দিক থেকে চাপ প্রয়োগ করে তাদের নিবৃত করা হয়েছে। তার কথায়, ‘আমি বলে রাখি, এখানে আরও অনেকে প্রত্যাহার করতেন। তাদেরকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দিক থেকে চাপ সৃষ্টি করে থামানো হয়েছে। তবে ১৫ জনও যদি সরে গিয়ে থাকেন, তাহলে সংখ্যাটা অনেক বড়। ৫০% প্রার্থী সরে যাচ্ছেন। কোনো একদিন এই বিষয়ে ডিটেইলসে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব।’

তামিম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, এই নির্বাচন দেশের ক্রিকেটের জন্য এক গাঢ় কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। তার মন্তব্য, ‘এখন যারা বিসিবিতে আছেন, তারা যেভাবে ইলেকশন করছেন, সেভাবে তারা জিততেও পারেন। তবে এটা ইলেকশন হচ্ছে না। তবে যাই হয়েছে, আমি একটা কথাই বলব যে ক্রিকেট হেরে গিয়েছে। আপনারা বলেন যে ক্রিকেটে ফিক্সিং বন্ধ করা লাগবে, তাদের বলব, আগে আপনারা নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন। এই নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে একটা কালো দাগ হয়ে থাকবে।’

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×