সরকার পতনের পর এবার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল মাদাগাস্কার


সরকার পতনের পর এবার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল মাদাগাস্কার

মাদাগাস্কারে জেনারেশন জেড নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ ক্রমেই বিস্তার লাভ করছে। সরকার ভেঙে দেওয়ার পরও উত্তাল জনতা থামছে না। বুধবার (১ অক্টোবর) রাজধানী থেকে শুরু করে দেশজুড়ে হাজারো মানুষ প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোয়েলিনার পদত্যাগ দাবি জানায়।

স্থানীয় টেলিভিশন সম্প্রচারে দেখা গেছে, টানা পঞ্চম দিনের মতো রাস্তায় বিক্ষোভ ও বিশৃঙ্খলা অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনটির অনুপ্রেরণা এসেছে সম্প্রতি কেনিয়া ও নেপালে হওয়া জেন-জি আন্দোলন থেকে।

শুরুটা হয়েছিল রাজধানী আন্তানানারিভোতে—পানি সংকট ও বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের প্রতিবাদে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

জনরোষ দমনে সোমবার রাতে রাজোয়েলিনা সরকার ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু সেই পদক্ষেপও পরিস্থিতি শান্ত করতে ব্যর্থ হয়।

চলমান আন্দোলনের ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন, সিনেট ও দেশের শীর্ষ আদালত ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলেছে তারা। বুধবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন— “রাজোয়েলিনা বের হও।”

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২২ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে। তবে সরকার এই সংখ্যা অস্বীকার করেছে।

সরকারি মুখপাত্র রয়টার্সের প্রশ্নের জবাব না দিলেও প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র লোভা রানোরোমারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, বিক্ষোভকারীরা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে এবং বাসাবাড়ি লুট করছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “আমরা অভ্যুত্থান চাই না, কারণ অভ্যুত্থান একটি জাতিকে ধ্বংস করে, অভ্যুত্থান আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে।”

অন্যদিকে বিরোধীদলীয় নেতা রিভো রাকোটোভাও স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রধান বিরোধী দলগুলোর জোট কোনো নতুন সরকারে যোগ দেবে না। তিনি প্রেসিডেন্টকে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, রাজোয়েলিনা প্রথম ক্ষমতায় আসেন ২০০৯ সালের এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। ২০১৪ সালে পদত্যাগ করলেও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় ফেরেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হন, যদিও তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিয়মিত নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগ করে আসছেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×