‘ধোনির মতো’ বিদায় চেয়েছিলেন রোহিত, দেয়নি বিসিসিআই
- খেলাধুলা ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৩:২৮ পিএম, ২১ মে ২০২৫

ইংল্যান্ড সফরের ঠিক আগে রোহিত শর্মা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। তবে স্কাই স্পোর্টসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তিনি আসলে এমএস ধোনির মতো মাঝপথে টেস্ট ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে ধোনি সিরিজের মাঝপথেই হঠাৎ অবসর নিয়েছিলেন। রোহিতও সেই রাস্তাই ধরতে চেয়েছিলেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোহিত চেয়েছিলেন ইংল্যান্ড সফরে যেতে এবং সিরিজের মাঝামাঝি সময় টেস্ট থেকে অবসর নিতে। কিন্তু বিসিসিআই সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। বোর্ড চেয়েছিল পুরো সিরিজে নেতৃত্বে স্থায়িত্ব থাকুক। তাই রোহিতকে অফার দেওয়া হয়েছিল দলে যেতে, কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে নয়। এরপরই রোহিত সিদ্ধান্ত নেন অবসর নেওয়ার।
রোহিতের এই বিদায় ছিল চমকে দেওয়ার মতো। এর কিছুদিন পরেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান বিরাট কোহলিও। দুই বড় তারকার একসঙ্গে বিদায় বোর্ডের সামনে একটা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। এখন টেস্ট দলের নেতৃত্বে নতুন কারা আসবেন, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
এদিকে রোহিতের উত্তরসূরি হিসেবে বিসিসিআইয়ের নির্বাচকরা শুভমান গিল ও ঋষভ পান্তের সঙ্গে ‘অফ দ্য রেকর্ড’ কথা বলেছেন। ২৩ মে’র আশেপাশে ইংল্যান্ড সফরের জন্য দল ঘোষণা করবে বোর্ড। গিল ও বুমরাহকে নিয়ে অধিনায়কত্ব ঘিরে নানা গুঞ্জন থাকলেও, এখনও পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত নয়।
গিলকে নিয়ে এখনও খানিকটা সন্দেহ আছে নির্বাচক প্যানেলে। একাংশের অভিমত, তাকে অধিনায়ক করা ঠিক হবে না, কারণ একাদশে তার জায়গা এখনো স্থায়ী নয়। তাই তাকে সহ-অধিনায়ক করাই বেশি উপযুক্ত হবে বলে মত তাদের।
তবে এই প্রসঙ্গে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার দ্বিমত পোষণ করেছেন। তার অভিমত, আইপিএলের চাপই ভবিষ্যতের অধিনায়কদের জন্য সবচেয়ে ভালো প্রশিক্ষণ হয়ে থাকবে। তিনি মনে করেন, আইপিএলের নেতৃত্বই গিল, পান্ত, ও শ্রেয়াস আইয়ারদের জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত করছে।
গাভাস্কার বলেন, ‘গিল সম্ভবত সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবাপন্ন। কোনো সিদ্ধান্ত হলে সে সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলছে। মাঠে সে খুব সক্রিয় থাকে। পান্তও উইকেটের পেছন থেকে খুব সক্রিয়। আইয়ারও চমৎকার নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনজনই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে দল চালাচ্ছে।’
‘ধোনি, রোহিত, আর কোহলির মতো নেতা তৈরি হতে কয়েক বছর সময় লাগবে। ওরা সবাই নেতৃত্বে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল এনেছিল। তবে এই তরুণদের মধ্যে সেই সম্ভাবনা আছে। একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের চাপেই সবচেয়ে ভালো ক্যাপ্টেন তৈরি হয়। এটা অধিনায়ক হওয়ার জন্য সেরা প্রশিক্ষণ মাঠ।’