গাজায় ঢুকছে ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক, ইসরায়েলের অনুমতির পর শুরু সরবরাহ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:৫৫ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ অভিযানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবশেষে ঢুকছে ত্রাণের বহর। খাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে থাকা এই অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে প্রবেশ শুরু করবে ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, দীর্ঘ অবরোধ ও সামরিক তৎপরতার পর এই ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পরের দিন থেকেই গাজায় তীব্র অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এরপর থেকেই খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।
অভিযানের আগেই দারিদ্র্যপীড়িত গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সরাসরি আন্তর্জাতিক খাদ্য ও মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল। তবে দুই বছরের অবরোধে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। শুধুমাত্র ক্ষুধা ও অপুষ্টিজনিত কারণে এ সময় গাজায় প্রায় ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু।
গাজায় ত্রাণ সাধারণত রাফা সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই প্রবেশ করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর ১০ অক্টোবর থেকে সংঘাতবিরতি শুরু হয়।
যুদ্ধবিরতির প্রথম তিন দিন প্রতিদিন রাফা সীমান্ত দিয়ে ৩০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ট্রাম্পের ২০ দফা সমঝোতা প্রস্তাবের একটি শর্ত ছিল, হামাসের হাতে বন্দি সব ইসরায়েলি নাগরিক—জীবিত ও মৃত—ফেরত দিতে হবে।
তৃতীয় দিনে জীবিত সব জিম্মিকে ফেরত দিলেও কেবল চারজন মৃত ইসরায়েলির মরদেহ হস্তান্তর করে হামাস। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল।
তবে পরে হামাস অতিরিক্ত মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দিলে অবস্থান পরিবর্তন করে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামাস চুক্তির শর্ত মেনে চললে প্রতিদিন গাজায় ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে।
সূত্র: রয়টার্স