মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড দাবি রাষ্ট্রপক্ষের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০২:৫০ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ টানা পাঁচ দিন ধরে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে তিনি এই আবেদন জানান। একই সঙ্গে রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের শাস্তির বিষয়টি আদালতের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দেন তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছেন। একজন মানুষকে হত্যার দায়ে যদি একবার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, তবে ১ হাজার ৪০০ মানুষের হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে ১ হাজার ৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত। তবে আইন অনুযায়ী তা সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, “এই কারণে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আবেদন করছি। এ দণ্ড কার্যকর হলে দেশের জনগণ ন্যায়বিচার পাবে।”
তাজুল ইসলাম জানান, অপরাধীদের সম্পত্তি বিক্রি করে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে। আগামী সোমবার আসামি শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন। এরপর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দেওয়াসহ ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ ও ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’-এর মোট পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরু করার আদেশ দেন।
মামলার শেষ (৫৪তম) সাক্ষী ছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর। গত ৬ অক্টোবর তার জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।