২০৫ রান করেও আমিরাতকে হারাতে পারল না বাংলাদেশ


MARCH NAEEM 2ND/ltn-tnjd.jpg

১৯তম ওভারের শেষ বলে হতে পারত ১ রান। কিন্তু শরীফুলের স্টাম্প ভাঙার চেষ্টায় স্টাম্পের ছোঁয়া না পেয়ে বল বাউন্ডারির বাইরে। আসে ৫ রান। তখন মাথা নিচু করে মাটিতে বসে পড়েছেন ফিল্ডার শরীফুল—ম্যাচটাই কি হাত ছাড়া হয়ে গেল!

এই ফিল্ডিং ব্যর্থতার পর শেষ ৬ বলে আমিরাতের দরকার ছিল ১২ রান। বোলার তানজিম হাসান সাকিবের সেই ওভারে ১ বল হাতে রেখেই প্রয়োজনীয় রানা তুলে ২ উইকেটে জিতে যায় রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ।

প্রথম ৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫৪/০। আরব আমিরাতের ৫৬/০। ১০ ওভার শেষেও বাংলাদেশের (৯০/০) চেয়ে এগিয়ে ছিল আমিরাত (৯৬/০)। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায় ৯১ রানে, আমিরাত ১০৭ রানে। এভাবে এগোতে থাকলে একটা সময় এই আশঙ্কা দানা বাঁধে মনে—আরব আমিরাতই জিতে যায়! সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। টি-টোয়েন্টি প্রথমবারের মতো আরব আমিরাত হারিয়েছে বাংলাদেশকে।

রান তাড়ায় দুর্দান্ত খেলতে থাকা স্বাগতিক দলের ওপেনার ওপেনার জোহাইবকে (৩৮) ফিরিয়ে সেঞ্চুরি জুটি ভাঙেন তানভির ইসলাম। এরপর তিনে নামা রাহুলকে (২) রিশাদ হোসেন ফিরিয়ে দিলে বিনা উইকেটে ১০৭ থেকে আমিরাত হয়ে যায় ১১০/২। ৩ রানের ব্যবধানে ২ উইকেটে পেয়ে উজ্জীবিত হয় বাংলাদেশ। কিন্তু তখনও স্বাগতিক অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলে দলের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন। ১৫তম ওভারে তাঁকে ফিরিয়ে দেন শরীফুল। আউট হওয়ার আগে ৯টি চার ও ৫টি ছয়ে ৪২ বলে ১৯৫.২৩ স্ট্রাইকরেটে ৮২ রান করেন তিনি।

পরের ওভারে অভিষিক্ত নাহিদ রানা ফিরিয়ে দেন আসিফ খানকে। তাতে লড়াইয়ে বাংলাদেশ ফিরলেও শেষ রক্ষা হয়নি। হায়দার আলী ৬ বলে অপরাজিত ১৫ রান করে জিতিয়ে দেন আমিরাতকে।

এর আগে টসে হেরে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে তোলে ২০৫ রান। যা এই সংস্করণে আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। দলের এই বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। পাওয়ার প্লেতে ৬৬ রান তোলা এই জুটি দশম ওভারের প্রথম বলেই যখন ছিন্ন হয়, তখন স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান ৯০। কুঁচকির চোটের কারণে এদিন অবশ্য ম্যাচে ছিলেন না আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমন।

সাগির খানের শর্ট বলে পুল করতে ওপেনার তানজিদ ধরা পড়েন ডিপ ব‍্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে, মাতিউল্লাহর হাতে। ভাঙে ৫৫ বল স্থায়ী ৯০ রানের জুটি। তানজিদ ফেরেন ব্যক্তিগত ৫৯ রানে। বড় আগ্রাসী ব্যাটিং করেন তিনি। এই রান করতে খেলেছেন ৩৩ বল। ৮টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংসটির স্ট্রাইকরেট ১৭৮.৭৮। ৭টি চার ও ৩টি ছয়ে ২৫ বলেই ফিফটি করেন তিনি।

তানজিদের তিন ওভার পরই বিদায় নেন আরেক ওপেনার লিটন দাসও। জাওয়াদুল্লাহর অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার ডেলিভারি অন সাইডে খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন লিটন ব্যক্তিগত ৪০ রানে। লিটনের মতো কাছাকাছি গিয়েও ফিফটি পাননি তাওহীদ হৃদয়। ২৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ে ৪৫ রান করে ফেরেন তিনি। দলীয় স্কোর ২০০ ছাড়াতে অবদান জাকের আলীরও। ৬ বলে ১টি চার ও ২টি ছয়ে ১৮ রান করেন তিনি।

বল হাতে সবচেয়ে সফল জাওয়াদুল্লাহ; ৪৫ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

এই ম্যাচ দিয়েই সিরিজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এক ম্যাচ বাড়িয়ে সিরিজ হবে এখন ৩ ম্যাচের। ২১ মে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেই পরদিন অর্থাৎ ২২ মে পাকিস্তানে রওনা দেবেন লিটন-শান্তরা।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×