জামায়াত ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ: সামান্তা শারমিন


জামায়াত ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ: সামান্তা শারমিন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত ও আওয়ামী লীগ একই রাজনৈতিক ধারার প্রতিচ্ছবি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তাঁর মতে, এই দুটি দল একে অপরের পরিপূরক হিসেবে বারবার ব্যবহৃত হয়েছে।

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “জামায়াত গণমানুষের দল নয়। জামায়াত ও আওয়ামী লীগকে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ হিসেবেই আমরা দেখে এসেছি।”

সাক্ষাৎকারে সামান্তা শারমিন দাবি করেন, যদি জামায়াত মনে করে তারা ক্ষমতায় গিয়ে দেশের গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক কিছু করতে পারবে, তবে সেটি একটি ভুল ধারণা। তিনি বলেন, অতীতে আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থে জামায়াতকে ব্যবহার করেছে, আর বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, উল্টোভাবে জামায়াতই আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করার কৌশল নিচ্ছে।

তিনি বলেন, “জামায়াত যদি মনে করে যে তারা ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রের জন্য ভালো হবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে। ইতিপূর্বে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ জামায়াতকে ব্যবহার করেছে, আর এবার জামায়াত আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করছে। জামায়াত ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হবে। বাংলাদেশের এবং বাইরের অনেক শক্তি এটা দেখানোর চেষ্টা করবে, বাংলাদেশ ইসলামিস্টের হাতে চলে যাচ্ছে। এভাবে আওয়ামী লীগ তার প্রাসঙ্গিকতা তৈরি করবে।”

সিভিল সোসাইটির একটি অংশের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন এনসিপি নেত্রী। তার বক্তব্য অনুযায়ী, এ সমাজের অনেকেই এখনো আওয়ামী লীগপন্থী অবস্থানে রয়েছে এবং এই পক্ষের ভোটের ভবিষ্যৎ কোথায় যাবে, তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

তার ভাষায়, “সিভিল সোসাইটিতে আওয়ামী লীগের পক্ষের অনেকে সোচ্চার, আওয়ামী লীগের পক্ষের ভোট কোথায় যাবে। জামায়াত চেষ্টা করে যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের ভোটারদের অ্যাট্রাক্ট করতে, আওয়ামী লীগের ভোটটা যাতে তাদের থাকে।”

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এনসিপির অবস্থান পরিষ্কার করে সামান্তা শারমিন বলেন, দলটি কখনোই আওয়ামী লীগ বা জামায়াতের মতো পুরোনো রাজনীতির ধারায় নিজেকে মানিয়ে নিতে চায় না। তিনি জানান, এনসিপি ভবিষ্যতের রাজনৈতিক রূপরেখায় স্বতন্ত্র জায়গা তৈরি করতে চায় এবং আসন্ন নির্বাচনে নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করে দেখতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, “জামায়াত ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে এনসিপির রাষ্ট্রকর্ম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ কারণে এনসিপি এই পুরোনো রাজনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে কোনোভাবে কমপ্লাই করতে বাধ্য নয়। আমরা নিজেদের জোট গঠনের চেষ্টা করব অথবা আমরা নিজেদের সক্ষমতা এই নির্বাচনেই পরখ করে দেখতে চাই।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×