তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে চূড়ান্ত আপিল শুনানি শুরু


তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে চূড়ান্ত আপিল শুনানি শুরু

বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত আপিল শুনানি শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে করা আবেদনের শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া, আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে, গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে দেওয়া আপিল বিভাগের ২০১১ সালের রায় পুনর্বিবেচনার অনুমতি দেন আদালত। এরপর একে একে আপিল করেন বিশিষ্টজন ও রাজনৈতিক নেতারা।

আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান। এছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৬ অক্টোবর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গত বছরের ২৩ অক্টোবর রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। একই দাবি নিয়ে গত বছর আবেদন করেন নওগাঁর রানীনগরের মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সাংবিধানিক ভিত্তি তৈরি হয় ১৯৯৬ সালে, ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। তবে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিন আইনজীবী হাইকোর্টে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট সংশোধনী বৈধ ঘোষণা করে রিট খারিজ করেন।

এরপর আপিল বিভাগের অনুমতি নিয়ে ২০০৫ সালে আপিল করা হয়। ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন। এই রায়ের ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়।

পরে এই রায়ের আলোকে ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী, যার গেজেট প্রকাশিত হয় ৩ জুলাই। এর মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলোপ ঘটে।

কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর রায়ের পুনর্বিবেচনার দাবি জোরালো হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এখন উচ্চ আদালতে চলছে এই বহুল আলোচিত বিষয়টির চূড়ান্ত শুনানি।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×