ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের আনুপাতিক নির্বাচনসহ ৭ দফা দাবি
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৭:১৭ পিএম, ২২ আগস্ট ২০২৫

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আগামী জাতীয় নির্বাচনে তরুণ প্রজন্মের ভোটের পূর্ণ মূল্যায়ন, ফ্যাসিজমের পুনরাবৃত্তি রোধ এবং জাতীয় সরকারের গঠনে সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন দেওয়ার দাবি করেছে। এছাড়া তারা মোট সাত দফা রাজনৈতিক প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংগঠনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মুনতাছির আহমাদ এসব দাবি জানান।
সংগঠনটির অন্যান্য ছয়টি দাবি হচ্ছে:
১. ২০২৪ সালের পর নতুন বাংলাদেশে কোনো নির্বাচিত স্বৈরাচারী, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা বা সন্ত্রাসী শ্রেণি যেন রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে জনগণের অধিকার হরণ করতে না পারে, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজনৈতিকীকরণ ও ধ্বংস করতে না পারে, এবং একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করতে না পারে। এজন্য মৌলিক রাষ্ট্র সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করা এবং শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক সংস্কার অগ্রাধিকারে বাস্তবায়ন করা জরুরি।
২. জুলাই ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের জন্য জাতীয় ঐকমত্যে জুলাই সনদ ঘোষণা ও তার আইনিভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন এবং ২০২৪-এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্য মুক্তির আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৪. ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির নামে অপরাজনীতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধ, রাজনৈতিক সহনশীলতা ও সহাবস্থান নিশ্চিত করা, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলা এবং জাতীয় পর্যায়ে যোগ্য ও আদর্শ নেতৃত্ব তৈরির জন্য সব ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। পাশাপাশি ডাকসু, জাকসু ও রাকসু নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন করাতে হবে।
৫. পতিত ফ্যাসিবাদ, পিলখানা, শাপলা, জুলাইসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিদেশে পালানো অপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের বিচার ও শাস্তি কার্যকর করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে।
৬. দেশে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও খুনখারাবি প্রতিরোধে প্রশাসনকে কার্যকর দায়িত্ব পালন করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।