আটাবে ৪১ লাখ টাকার অনিয়মের অভিযোগ, সাবেক নেতৃত্বের কাছে ব্যাখ্যা তলব


আটাবে ৪১ লাখ টাকার অনিয়মের অভিযোগ, সাবেক নেতৃত্বের কাছে ব্যাখ্যা তলব

বাংলাদেশের ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর সংগঠন এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)–এর আর্থিক লেনদেনে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য সাবেক সভাপতি, মহাসচিব ও অর্থসচিবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত আটাবের প্রশাসক মোতাকাব্বীর আহমেদ (উপসচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়)।

বুধবার (২২ অক্টোবর) প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসক সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ (এয়ার স্পিড প্রা. লি.), সাবেক মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ (সায়মন ওভারসীজ লি.) এবং সাবেক অর্থসচিব শফিক উল্লাহ নান্টু (নোভা ট্রাভেলস)-এর কাছে অনিয়মের বিষয়ে দ্রুত ব্যাখ্যা ও সমাধান প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আটাবের সাবেক নেতৃবৃন্দ। সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ অভিযোগের জবাবে বলেন, “যিনি এ চিঠিটি ইস্যু করেছেন তিনি গতকাল থেকে আর প্রশাসক নন। আটাবে নতুন প্রশাসক নিয়োগ হয়েছে। দায়িত্বের শেষ দিন তিনি একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে আমাদেরকে বিতর্কিত করার জন্য চিঠিটি ইস্যু করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা যেসব খরচ করেছি তার প্রতিটির ভাউচার আটাবে জমা আছে। তিনি আমাদের একবার ডেকেছিলেন, আমরা সেখানে গিয়ে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এ বিষয়গুলো তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেননি।” আরেফ অভিযোগ করেন, “মূলত সামনে আটাবের নির্বাচন হবে। একটি সিন্ডিকেট আছে যারা চায় না আমরা নির্বাচনে ভালো করি, তারাই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব করাচ্ছে।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আটাবে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। অফিস বন্ধ থাকার কারণে ১২ আগস্ট মোতাকাব্বীর আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি আটাবের আর্থিক লেনদেনে একাধিক অনিয়ম লক্ষ্য করেন। সাবেক কমিটির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের পরও সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৬ জুলাই থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত আটাবের ৯১ জন সদস্যের কাছ থেকে ফেম ট্রিপ (পরিচিতিকরণ ভ্রমণ) বাবদ ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০ টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু প্রশাসক দায়িত্ব নেওয়ার সময় আটাবের হিসাব অনুযায়ী ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬৬ টাকার পরিবর্তে মাত্র ৩৪ লাখ ৫ হাজার ৭৯৬ টাকা পাওয়া যায়।

প্রশাসক জানিয়েছেন, দায়িত্ব নেওয়ার সাত দিন পর ফেম ট্রিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে টাকা ফেরতের আবেদন আসে। ফলে অংশগ্রহণকারীদের প্রাপ্য ৪১ লাখ ৯২ হাজার ৮৫০ টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×