যে খাবার পাবেন ১৫ সেনা কর্মকর্তা সেনানিবাসের সাবজেলে
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:৪২ এম, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

আওয়ামী লীগ শাসনামলের গুম ও নির্যাতনের দুটি মামলা এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় অভিযুক্ত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে কারাগার থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে।
গত ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঢাকার বাশার রোড সংলগ্ন উত্তর পাশে অবস্থিত ‘এম ই এস বিল্ডিং নম্বর-৫৪’কে অস্থায়ীভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি ১৪ অক্টোবর সবার সামনে আসে।
কারাবিধি অনুযায়ী, তাদের তত্ত্বাবধানে থাকবেন কারা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সাব-জেলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৩৫ জন কর্মী দায়িত্ব পালন করবেন। আসামিদের খাবার সরবরাহ করা হবে কারাগার থেকে, বাহির থেকে খাবার আনা বা সাক্ষাতের ব্যাপারেও কারাবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
তৃতীয় তলায় অবস্থিত এই সাব-জেলটিতে মোট ১৬টি কক্ষ রয়েছে, যেখানে প্রত্যেক আসামির জন্য আলাদা করে একেকটি কক্ষ বরাদ্দ আছে।
কারা সূত্র জানায়, সাব-জেলে অবস্থানরত ১৫ সেনা কর্মকর্তার জন্য প্রতিদিন তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকালের নাশতায় রুটি ও সবজি দেওয়া হবে। দুপুরে ভাত, ডাল, সবজি এবং মাছ বা মাংস পরিবেশন করা হবে। রাতে থাকবে মাছ বা মাংসের সঙ্গে সবজি।
সাব-জেলের সুবিধাদি সম্পর্কে কারা সূত্র আরও জানায়, বন্দিদের কক্ষে রয়েছে একটি বিছানা, চেয়ার, টেবিল, পত্রিকা এবং ফ্যান। চা পান করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার এবং জেলা সাব-জেলের তত্ত্বাবধানে থাকবেন। তিনজন ডেপুটি জেলা তিনটি শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে তারা স্থায়ী নয়, কয়েকদিন পরপর পরিবর্তন হবে।
এআইজি (প্রিজন্স) জান্নাতুল ফরহাদ জানিয়েছেন, “বুধবার আমরা আসামিদের পুলিশের কাছ থেকে বুঝে পেয়েছি। আসামিরা এখন আমাদের অধীনে সাব-জেলে আছেন। পরবর্তী সময়ে যখন তাদের আদালতে হাজিরা থাকবে, তখন পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে এবং ফের আমাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “কারাবিধি অনুযায়ী তাদের খাওয়াদাওয়াসহ সব ধরনের ব্যবস্থা করছে কারা কর্তৃপক্ষ।”
এ বিষয়ে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, “১৫ সেনা কর্মকর্তা বাশার রোডের সাব-জেলেই থাকবেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার এবং জেলা সাব-জেলটির তদারকি করবেন। সার্বক্ষণিক একজন ডেপুটি জেলা সেখানে ডিউটি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাব-জেলে নিয়োজিত করা হয়েছে। কারাবিধি অনুযায়ী এখানকার বন্দিরাও অন্যান্য ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের মতোই সুবিধা পাবেন।”
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।