তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে তৃতীয় দিনের আপিল শুনানি চলছে


তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে তৃতীয় দিনের আপিল শুনানি চলছে

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে তৃতীয় দিনের চূড়ান্ত আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল এবং ১৪তম জাতীয় নির্বাচন থেকে তা কার্যকর করার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন আবেদনকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে আইনজীবীরা।

সে সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ প্রশ্ন তোলেন, “রায়ের মাধ্যমে যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসে, তবে কি তা সংসদের ক্ষমতা সীমিত করবে?” জবাবে রিটকারী আইনজীবীরা জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরালে সেটি কি অন্তর্বর্তী সরকারের আওতায় আসবে এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো কীভাবে সংজ্ঞায়িত হবে, তা রায়ে স্পষ্ট করা প্রয়োজন।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) একই বেঞ্চে প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন সকালে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে বক্তব্য শুরু করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। পরে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরাও তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানি শেষে গত ২৭ আগস্ট আপিলের অনুমতি দেয় আপিল বিভাগ। এর পর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।

সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত হয়। এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে রিট খারিজ করে দেয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×