প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:০৬ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে রোববার (৫ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের প্রতিনিধি দল শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে।
বৌদ্ধ নেতারা এই উপলক্ষ্যে প্রবারণা পূর্ণিমার তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে বিহার পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।
উপস্থিত বৌদ্ধ নেতারা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, রাজধানীর উত্তরায় বৌদ্ধদের শেষকৃত্যের জন্য স্থান বরাদ্দের জন্য। তারা বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিষয়টি অবহিত করার পর ১০ দিনের মধ্যে শ্মশানের জন্য স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে। এটি ইতিহাসে অনন্য। ঢাকায় বৌদ্ধধর্মের কেউ মারা গেলে আগে চট্টগ্রামে যেতে হতো। এখন মৃত্যুপরবর্তী এক স্থায়ী জায়গা হয়েছে।”
বৈঠকে এ বছর কঠিন চীবর দান উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। বৌদ্ধ নেতারা ধর্ম মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
এছাড়া তীর্থযাত্রা ব্যবস্থাপনা, বৌদ্ধ পন্ডিত, ধর্মগুরু ও দার্শনিক অতীশ দীপঙ্করের নামে সরকারি জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র গড়াসহ বিভিন্ন দাবি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শেয়ার করা হয়।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধপ্রিয় মহাথের, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের ভিক্ষু কল্যাণ জ্যোতি, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব জয় দত্ত বড়ুয়া এবং ট্রাস্টিদের মধ্যে প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, মং হলা চিং, সুশীল চন্দ্র বড়ুয়া, অধ্যাপক ববি বড়ুয়া, রুবেল বড়ুয়া ও রাজীব কান্তি বড়ুয়া।
সাথে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাও উপস্থিত ছিলেন।