নির্বাচনে ১ লাখ সেনা মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক লাখ সেনা মাঠে থাকবে। এছাড়া নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসারসহ সব বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের মূল শক্তি জনগণ। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হবে, তা কেউ আটকাতে পারবে না। নির্বাচন শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং এটি জনগণের ওপরও নির্ভর করে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি মতৈক্য থাকে, তবে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন ও গণমাধ্যমও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে এবং সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে মাঠে প্রায় ৩০ হাজার সেনা আছে, নির্বাচনের সময় তা এক লাখে উন্নীত হবে।

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ অনেক কষ্টের পর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তবে কিছু অস্ত্র এখনো বাইরে রয়েছে। চট্টগ্রামের পাহাড়ি ভৌগোলিক অবস্থার কারণে অভিযান কিছুটা কঠিন। তবে নির্বাচনের আগে উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে।

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিল নিয়েও তিনি বলেন, ঢাকাতেও মিছিল হয়েছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। গ্রেফতার হয়েছে, তবে জামিন পাওয়া যাচ্ছে। চেষ্টা করছি যাতে তারা সহজে জামিন না পায়। নির্বাচনের আগে ছোটখাটো মিছিল আর হবে না।

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি জানান, মিয়ানমারের সেনারা এখন সীমান্ত এলাকায় নেই। পুরো এলাকা আরাকান আর্মির দখলে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখছে। মাদক প্রবেশ ও অন্য পণ্যের ন্যায্য বণ্টন নিয়ন্ত্রণে ফোর্স বৃদ্ধি করা হয়েছে। আশা করছি, মাদক সমস্যা কমে আসবে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ কোনো হুমকির মুখে নেই। আমাদের লক্ষ্য দ্রুত তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো।

এবারের দুর্গাপূজা সম্পর্কে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন হবে। কোনো বড় ধরনের সমস্যা নেই। পূজার পবিত্রতা রক্ষায় সকলের সহযোগিতা আশা করছি। অন্য ধর্মের মানুষদেরও অনুরোধ, যাতে তারা শান্তিপূর্ণ উদযাপনে সহায়তা করেন।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।