প্রবাসীদের ভোটের খরচ বহন করবে সরকার: ইসি সানাউল্লাহ


প্রবাসীদের ভোটের খরচ বহন করবে সরকার: ইসি সানাউল্লাহ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রবাসী প্রতিটি পোস্টাল ভোটিংয়ের খরচ আনুমানিক ৭০০ টাকা হতে পারে। ইসির ধারণা, প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ প্রবাসী ভোট দিতে নিবন্ধন করবেন। তবে প্রবাসীদের জন্য কোনো চার্জ আরোপ করা হবে না এটি সরকারি কোষাগার থেকে বহন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন ও লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে আউট অফ কান্ট্রি ভোটিং সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার পর তিনি এ তথ্য জানান।

নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ বলেন, পোস্টাল ভোটিং ব্যয়বহুল, কিন্তু প্রবাসীদের জন্য এটি যৌক্তিক ব্যয়। ভোটার নিবন্ধন এবং প্রবাসীদের জন্য বিশেষ নিবন্ধন এই দুইটি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে। যাদের হাতে এনআইডি আছে, তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার। আইন অনুযায়ী ভোট দেওয়ার জন্য প্রথমে ভোটার হতে হবে। ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কেউ ভোট দিতে পারবে না।

তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের জন্য আউট অফ কান্ট্রি ভোটিং রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে অ্যাপটি লঞ্চ হবে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ও ন্যাশনাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিটি অঞ্চলের জন্য নিবন্ধনের সময়সূচি জানাবো। প্রত্যেক রিজিয়নকে সাত থেকে দশ দিন সময় দেব, এবং শেষ পর্যন্ত তিন থেকে সাত দিন অতিরিক্ত সময় রাখা হবে, যাতে বাদ পড়া প্রবাসীরাও নিবন্ধন করতে পারেন।

মো. সানাউল্লাহ বলেন, নিবন্ধনের পরও অনেক দেশে ভোটার সংগ্রহের হার মাত্র ৩০ শতাংশের নিচে থাকে। তবে আমাদের প্রবাসীদের মধ্যে ভোটের আগ্রহ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। দেশের বাইরে প্রায় ১৪–১৫ মিলিয়ন প্রবাসী বসবাস করছে। এত বড় জনগোষ্ঠীকে বাদ রেখে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৩৬ জুলাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রবাসী ভোটাধিকার নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে। যারা প্রবাসে থেকে দেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক অবস্থান গড়েছেন, তাদের ন্যায্য দাবি ভোটাধিকার। আমরা সেই দাবি বাস্তবায়ন করতে চাই।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনটি মূল বিষয় উল্লেখ করেছিলেন প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা, এবং কার্যকরী পদ্ধতি তৈরি করা। সেই নির্দেশনায় ডিসেম্বরে প্রবাসী ভোট নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়। তিনি জানান, পোস্টাল ভোটিং বেছে নেওয়া হয়েছে আইটি সাপোর্টেড পদ্ধতির মধ্যে থেকে, যা অনলাইন ভোটিংয়ের বিকল্প।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×