মাদক বহনকারীরা ধরা পড়ছে, কিন্তু গডফাদাররা ধরা পড়ছে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৬:২০ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২৫

দেশজুড়ে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চললেও, বড় দুর্ভাবনার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে গডফাদারদের ধরা— বলছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা প্রত্যাশিত সহায়তা দিচ্ছে না।
সোমবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে মাদকের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মাদকটা আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেভাবে ঢুকে গেছে, এটাকে কীভাবে বন্ধ করা যায়, সেজন্য আমরা কক্সবাজারে একটা উচ্চপর্যায়ের কমিটি গিয়েছিলাম। তাদের অর্জনটা কি সেটা দেখার জন্য। দেখা গেছে, ওখানে যাওয়ার পর কিছুটা সুফল আমরা পেয়েছি। মাদক জব্দের পরিমাণটা অনেক বেড়েছে।’
তিনি জানান, মাদক সরবরাহকারী বা বহনকারীরা নিয়মিত ধরা পড়লেও, মূলহোতা গডফাদাররা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ বিষয়ে বাধা হিসেবে কাজ করছে কিছু সংস্থার উদাসীনতা।
তার ভাষায়, ‘মাদক বহনকারীরা ধরা পড়ছে, কিন্তু গডফাদাররা ধরা পড়ছে না। গডফাদারদের ধরতে না পাড়ার পেছনে আমাদের কিছু সংস্থার দায় রয়েছে। আমরা সবার থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি না। কাদের থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না সেটা আমি আপাতত বলতে চাচ্ছি না। অনেক আছে যাদের কাছ থেকে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি না।’
এছাড়া আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আগস্ট মাস থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের আগে পর্যন্ত এক ব্যাচ যাবে আরেক ব্যাচ আসবে, এভাবে ট্রেনিং চলতে থাকবে।’
পুলিশ প্রশাসনে পরিবর্তন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ সুপার ও ওসি পর্যায়ে বদলি অব্যাহত রয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া চলবে।
তিনি বলেন, ‘এসপি-ওসিদের পরিবর্তন তো কন্টিনিউস হচ্ছে। এটা হতে থাকবে।’
নির্বাচনের কারণে কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পিত পরিবর্তন হবে কি না জানতে চাইলে তার সংক্ষিপ্ত মন্তব্য ছিল, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হবে কি না, সেটা আপনারা হলে দেখতে পারবেন।’