চাঁদাবাজির প্রমাণ মেলেনি, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: পুলিশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:৪৬ পিএম, ১২ জুলাই ২০২৫

ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত চাঁদাবাজির কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
শনিবার (১১ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “মূলত ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আর্থিক লেনদেনসংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।”
পুলিশ জানায়, সোহাগের সঙ্গে আসামিরা একই পেশায় জড়িত ছিলেন এবং তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল। তবে শুধুমাত্র ব্যবসায়িক বিরোধ, না কি অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা বিস্তারিতভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ভিডিও এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করেছে। এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন উপ-পুলিশ কমিশনার জসীম উদ্দিন।
উল্লেখ্য, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে শত শত জনতার সামনে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাকে টেনেহিঁচড়ে দোকান থেকে বের করে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে, কুপিয়ে এবং কংক্রিটের টুকরো দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সোহাগ রাস্তায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে আছে। আক্রমণকারীরা একে একে বড় পাথর, ইট ও কংক্রিট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। হামলার নেতৃত্ব দেন মহিন ও অপু দাস, যাদের কর্মী হিসেবে পরিচিত সজীব, রিয়াদ, ছোট মনির, বড় মনির ও নান্নু সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। অভিযুক্তদের মধ্যে কেউ কেউ হাসপাতালের কর্মচারী এবং অ্যাম্বুলেন্স চালক, আবার কেউ কেউ মহিনের নেতৃত্বাধীন যুবদলের কর্মী বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, অভিযানের মাধ্যমে মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাবও মনির ও আলমগীর নামে আরও দুজনকে আটক করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মহিনকে ৫ দিন এবং রবিনকে ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।