প্রাণিস্বাস্থ্যের বিষয়ে আপোষের কোনো সুযোগ নেই: ফরিদা আখতার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:০৪ পিএম, ২৯ জুন ২০২৫

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। এদের সুস্থ না রাখলে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়বে। অসুস্থ প্রাণির মাংস গ্রহণে মানুষও অসুস্থ হতে পারে। তাই প্রাণিস্বাস্থ্যের বিষয়ে আপোষের কোনো সুযোগ নেই।
রোববার (২৯ জুন) বিকেলে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে অ্যানিম্যাল সায়েন্স এবং ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ আয়োজিত ‘ডিন'স অ্যাওয়ার্ড ও ওরিয়েন্টেশন-২০২৪’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে প্রাণি থেকে মানুষে অনেক রোগ সংক্রমিত হচ্ছে। ফলে প্রাণি ও মানুষের স্বাস্থ্যকে আলাদা করে দেখা ঠিক নয়। তাই প্রাণিস্বাস্থ্যকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।
নারী শিক্ষার্থীদের ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে প্রশংসা করে তিনি বলেন, গ্রামীণ নারীরাই গরু-ছাগল পালনের মূল দায়িত্বে থাকেন। তারা নারী ভেটেরিনারিয়ানদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে পারেন, যা প্রাণিসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করে।
তিনি বলেন, ভেটেরিনারি সায়েন্স ও অ্যানিমেল সায়েন্স একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাণির স্বাস্থ্য এবং উৎপাদন একে অপরের পরিপূরক। তাই দুটি শাখাকে একসাথে নিয়ে আসার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে ভাবা হচ্ছে।
প্রাণির রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারের চলমান কার্যক্রম প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ক্ষুরারোগসহ নানা সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। এসব রোগ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে প্রাণিপণ্য, বিশেষ করে গরুর মাংস রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি উৎপাদন বাড়াতে পারি, ফিড ও বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারি, তাহলে দেশীয় গরুর মাংসের দামও সহনীয় হবে। এতে বিদেশ থেকে মাংস আমদানি নয়, বরং মাংস রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
এর আগে তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।