উদ্বোধনের অপেক্ষায় ‘মওলানা ভাসানী সেতু’


উদ্বোধনের অপেক্ষায় ‘মওলানা ভাসানী সেতু’

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা সদর পর্যন্ত তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

আগামী ২০ আগস্ট (বুধবার) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গাইবান্ধায় সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। এই তথ্য সোমবার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সেতুটি বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওফিড) এর অর্থায়নে নির্মিত এবং এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা।

সেতুর দৈর্ঘ্য ১৪৯০ মিটার, প্রস্থ ৯.৬০ মিটার, দুটি লেন এবং ৩১টি স্প্যান বিশিষ্ট একটি প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট গার্ডার সেতু।

সেতুটি চালু হলে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে, শিল্প ও কৃষিজাত পণ্য পরিবহন দ্রুততর হবে এবং ছোট ও মাঝারি কলকারখানা স্থাপনের সম্ভাবনা বাড়বে। নদীর উভয় তীর সংযোগসহ উন্নত রোড নেটওয়ার্ক এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসংস্থান, স্থানীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সেতুর মাধ্যমে পর্যটন বৃদ্ধি ও নতুন পরিবহন করিডোর তৈরি হবে। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের সঙ্গে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী স্থলবন্দর সংযোগের দূরত্ব ৪০-৬০ কিলোমিটার হ্রাস পাবে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×