গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী করবেন, কী খাবেন


গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী করবেন, কী খাবেন

মরুভূমি বা শুষ্ক ভূখণ্ডের দিকে মে–জুন মাসে বয়ে যায় ‘লু হাওয়া’ নামে তাপপ্রবাহ। এ সময় সাধারণত ৪৫–৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকে। বাতাসের আর্দ্রতাও থাকে কম। ভারত ও পাকিস্তানে একে বলে ‘লু লগনা’। 

লু হাওয়ার কারণে ব্যাপকভাবে হিট স্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে লু হাওয়া শুরু না হলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নিয়মিতই ৪০ ডিগ্রি পার হচ্ছে। রোদে বেরোলেই গা জ্বালা করছে। ছায়ায় বসে থেকেও আরাম নেই, কারণ বাতাসও গরম। বারবার তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের এ সময় কষ্ট বেশি হয়।

তীব্র গরমে পানিশূন্যতার মারাত্মক ঝুঁকি থাকে। পানিশূন্যতা বুঝতে প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন। 

ভারত ও পাকিস্তানে লু হাওয়ার সময় বিশেষ কিছু শরবত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতল করতে এবং হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দিতে কার্যকর এসব শরবত। লু হাওয়ার সময় গোলাপ, খুস-খুস, শাহতুত, বেল ও ফলসার শরবত পান করা হয়। 

রুহ আফজা নামে একটি ইউনানি রেসিপিও জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতলকারী বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে এটি বানানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে সিরাপ বা বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত শরবত আকারে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঠান্ডা দুধের পানীয়, বরফ এবং ঠান্ডা মিষ্টান্ন সহযোগে ফালুদাও জনপ্রিয়। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানে দই দিয়ে বানানো পানীয় ‘লাচ্ছি’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, এটি লু হাওয়ার মধ্যে শরীর শীতল রাখে। 

বাংলাদেশেও এই গরমে হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা পেতে এসব খাবার খাওয়া যেতে পারে।

এই বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে কিছু পরামর্শ: 

১. যতটা সম্ভব ঘরে থাকুন। বিশেষ করে বিকেল বেলা। 
২. ঘরের বাইরে নরম সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। রোদে বের হলে পুরো শরীর ঢেকে রাখুন। 
৩. রোদে ছাতা ব্যবহার করুন অথবা মাথা সুতি কাপড়ে ঢেকে রাখুন। 
৪. প্রচুর ঠান্ডা তরল পান করুন। 
৫. মাংস, ডুবো তেলে ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। 
৬. কাশি হলে বা গলা সুর সুর করলে মধু, লবণ ও আদার রস মিশিয়ে চেটে খেতে পারেন। 
৭. ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান
৮. মৌসুমি ফল যেমন: তরমুজ খান যত ইচ্ছা। বাঙ্গির জুস খেতে পারেন। পানিশূন্যতা নিবারণে কাজে দেবে। 
৯. ডাবের পানি খেতে পারেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×