দুই মৃত জিম্মির বিনিময়ে ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিলো ইসরায়েল
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৫:৪৮ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
 
                                গাজার খান ইউনিসে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রেড ক্রসের মাধ্যমে ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ ইসরায়েল থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যা চলমান যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ।
এর আগের দিন, বৃহস্পতিবার রাতে হামাস দুই ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয়। গত ১৩ অক্টোবর ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের মধ্যে যেসব যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল একজন মৃত জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েল ১৫টি ফিলিস্তিনি মরদেহ প্রত্যাহার করবে। এই ধারাবাহিকতা অনুযায়ী, গতকাল দুই মৃত জিম্মি ফেরত দেওয়ার পর ইসরায়েল ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে।
আল নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বার্তাসংস্থা এএফপিক জানান, “বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দির মরদেহ ইসরায়েল থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।”
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ইতিমধ্যেই ২২৫ জনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে। তবে এখনও অনেক ফিলিস্তিনির মরদেহ দখলদারের হাতে রয়েছে, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে সেখানে রয়েছে।
চুক্তির প্রথম দিনে হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী ২০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেয়। এরপর ধীরে ধীরে মৃত জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর শুরু হয়। হামাস যেসব মৃত জিম্মির মরদেহ লুকিয়ে রেখেছিল, সেগুলোর মধ্যে কিছু ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং তা উদ্ধার করতে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েল ইতিমধ্যেই দুইবার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে তারা নতুন করে প্রায় ১৬০ জনকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে একরাতে একমাত্র ১০৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্র: এএফপি, টাইমস অব ইসরায়েল
 
                        
                     
                             
                             
                             
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                    