মসজিদুল আকসার কিছু অংশ ধসে পড়ার শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৭:১৯ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২৫

জেরুজালেম প্রশাসনের মতে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর চলমান খনন কাজের কারণে পবিত্র আল-আকসা মসজিদের কিছু অংশ ধসে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে তারা অভিযোগ করেছে, শেখ জাররাহ এলাকায় দখলনীতি জোরদার ও স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের চলাচলে নতুন করে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জেরুজালেম প্রশাসন সতর্ক করে জানিয়েছে, মসজিদের নিচে খনন কাজ চলমান থাকায় এটি পুরোনো জেরুজালেমের ঐতিহাসিক ইসলামি নিদর্শন ও স্থাপত্যের জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল ‘মিথ্যা ধর্মীয় দাবির’ আড়ালে শেখ জাররাহে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ ও দখল জোরদার করছে। গত দুই দিনে স্থানীয় এলাকায় কঠোর সামরিক অবরোধ আরোপ করা হয়েছে, যার ফলে ফিলিস্তিনিরা তাদের দৈনন্দিন চলাচলও সীমিত করতে বাধ্য হয়েছেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনারা বসতি স্থাপনকারীদের ‘শিমন দ্য রাইটিয়াসের সমাধি’ নামে পরিচিত স্থানে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে, যেখানে তারা তোরাহ ধর্মীয় আচার পালনের জন্য বিশেষভাবে স্থাপিত তাবুতে সমবেত হয়েছে। পাড়াজুড়ে ইসরায়েলি সামরিক যান মোতায়েন করা হয়, তল্লাশি চৌকি বসানো হয় এবং প্রধান সড়কগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, যার ফলে স্থানীয়দের জীবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
জেরুজালেম প্রশাসনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শিমন দ্য রাইটিয়াসের সমাধি’ নামে পরিচিত স্থানের কোনো ঐতিহাসিক বা প্রত্নতাত্ত্বিক ভিত্তি নেই। বরং দলিল-প্রমাণ অনুযায়ী, এই স্থানটি ১৭৩৩ সালে সুফি আলেম শেখ সিদ্দিক আস-সাদীর মালিকানাধীন ছিল এবং তিনি এটিকে খলওয়া ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ব্যবহার করতেন। কোনো প্রাচীন ইহুদি ব্যক্তিত্বের সঙ্গে এই স্থানের কোনো সম্পর্ক নেই; এটি দখলদারদের তৈরি কাহিনি মাত্র।
বিবৃতির শেষাংশে জেরুজালেম প্রশাসন জোর দিয়ে বলেছে, ইসরায়েল ধর্মীয় অজুহাত দেখিয়ে দখল ও বসতি সম্প্রসারণকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু বাস্তবে এটি ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের ধীরে ধীরে উচ্ছেদ ও এলাকার উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পিত কৌশল। প্রশাসন আরও জানিয়েছে, শেখ জাররাহ ও সংশ্লিষ্ট স্থানের মালিকানা সংক্রান্ত ইতিহাস, শরিয়াহ আদালতের রায় এবং স্থানীয় পরিবারের নথি-প্রমাণই বৈজ্ঞানিক ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সত্য।
সূত্র: আল জাজিরা, ওয়াফা নিউজ এজেন্সি