সৌদি আরবে ৫০ বছর পর বাতিল হলো বিতর্কিত ‘কাফালা’ ব্যবস্থা


সৌদি আরবে ৫০ বছর পর বাতিল হলো বিতর্কিত ‘কাফালা’ ব্যবস্থা

সৌদি আরব শ্রমনীতি সংস্কারে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটি ৫০ বছর ধরে চালু থাকা বহুল সমালোচিত ‘কাফালা’ ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেছে।

‘কাফালা’ বা স্পন্সরশিপ পদ্ধতিতে বিদেশি শ্রমিকদের সৌদি আরবে আনতেন স্থানীয় নাগরিক বা নিয়োগকর্তারা, যাদের ‘কফিল’ বলা হতো। এই ব্যবস্থায় শ্রমিকদের চাকরি, চলাফেরা এবং দেশে ফেরার সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকত কফিলদের হাতে।

২০২৫ সালের জুন মাসে এই ব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা সৌদিতে থাকা বিদেশি শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর ফলে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ শ্রমিক সরাসরি উপকৃত হবেন, বিশেষত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শ্রমিকরা।

‘কাফালা’ শব্দটি আরবি, যার অর্থ ‘স্পন্সর’। ১৯৫০-এর দশকে সস্তা শ্রমিকদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। সেই সময় প্রচুর বিদেশি শ্রমিক সৌদি আরবে আসেন এবং দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যবস্থা হয়ে ওঠে নির্যাতন ও শোষণের মাধ্যম। অনেক কফিল শ্রমিকদের পাসপোর্ট জব্দ করে রাখতেন, বেতন বিলম্বিত করতেন কিংবা চাকরি পরিবর্তন ও দেশে ফেরার স্বাধীনতা কেড়ে নিতেন।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবস্থাকে ‘আধুনিক যুগের দাসত্ব’ বলে সমালোচনা করেছে। তাদের ভাষায়, কাফালা ব্যবস্থার অধীনে শ্রমিকরা তাদের মৌলিক মানবাধিকারের বাইরে থেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×