আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া বিএনপি নেতাকে এবার আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৩:১২ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
বিএনপি নেতা ও জিয়াউর রহমান সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ফজলুর করিমের ছেলে অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিমকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। তাকে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সদস্যসচিব মো. শরীফুল ইসলাম এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ফয়জুল করিম জেলা বিএনপির পূর্ববর্তী কমিটিতে সহ-দপ্তর সম্পাদক এবং বর্তমান জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান বলেন, “তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ায় সংগঠনের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক আচরণ করেছেন। তাই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
লিখিত বক্তব্যে সদস্যসচিব শরীফুল ইসলাম বলেন, “দেশের অভ্যন্তরে থাকা অপশক্তি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা স্বাধীনতা ও জুলাই বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে ফয়জুল করিম মুবিন বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে দলের শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন, যা সংগঠনের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী।”
তিনি আরও জানান, “দলীয় নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ফয়জুল করিমকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী ফোরামের সাবেক সহসভাপতি মো. শফিউজ্জামান শফি, শেখ মাসুদ ইকবাল, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত বুধবার (২২ অক্টোবর) ফয়জুল করিম ফেসবুকে লাইভে এসে আওয়ামী লীগের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। দুই মিনিট ১২ সেকেন্ডের বক্তব্যে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা যেহেতু বলেছেন, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অবশ্যই আসবেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”
এ বিষয়ে সদস্যসচিব শরীফুল ইসলাম বলেন, “মুবিন ফেসবুক লাইভে এসে বিএনপি থেকে পদত্যাগ এবং আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বহিষ্কার করা হলো।”
ফয়জুল করিমের আকস্মিক আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণায় কিশোরগঞ্জ বিএনপিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলেও, এমন প্রেক্ষাপটে তার এই সিদ্ধান্ত স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।