ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার পরিকল্পনা ইসরায়েলের


ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার পরিকল্পনা ইসরায়েলের

হামাসের সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের মরদেহ নিয়ে ইসরায়েলে বিতর্ক ওঠে—টেলি-সংবাদের বরাত দিয়ে দেশটির এক মন্ত্রী মরদেহটি ফিরিয়ে না দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি বর্তমানে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বিবেচনা করছে।

সংবাদমাধ্যম ইয়েনেত সোমবার (২০ অক্টোবর) জানিয়েছে, গতবার রাফা এলাকার সম্মুখ যুদ্ধে নিহত হওয়া সিনাওয়ারের মরদেহ হেফাজতে নেয়া হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে। এ নিয়ে ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ মরদেহ হামাসকে হস্তান্তর না করে পুড়িয়ে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছেন এবং ওই প্রস্তাব এখন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছে নির্দেশিত আছে।

মিরি রেগেভ নিজেও এই ধারণা স্বীকার করে স্থানীয় রেডিও স্টেশন কোল বারামায় বলেছেন, “আমি মনে করি মার্কিনিরা বিন লাদেনের সাথে যা করেছে, আমাদের ঠিক একই কাজ করা উচিত। আমি মন্ত্রিসভার এ প্রস্তাব দিয়েছি। বলেছি, কিছু প্রতীক কখনো ফেরত দেওয়া উচিত নয়।” তিনি আরও বলেন, মরদেহ ফেরত দিলে কবরস্থ করার পর তা নিয়ে মানুষের মধ্যে সহানুভূতি জন্মাতে পারে—তাই তিনি চান সিনাওয়ারের কবর স্থাপন না হোক।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলায় আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হলে তার মরদেহ সমুদ্রে ফেলা হয়েছিল; সে সিদ্ধান্তটিও কেন্দ্রীয়ভাবে মাজার সৃষ্টি রোধের যুক্তিতে নেওয়া হয়েছিল।

ইয়েনেতের সূত্র অনুযায়ী, মিরি রেগেভের ওই বক্তব্য নিরাপত্তা এবং সামরিক কর্মকর্তাদের ঝুলিতে পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিকভাবে যে প্রতিক্রিয়া আসতে পারে, তা নিয়েও পর্যবেক্ষণ চলছে।

সূত্র: ইয়েনেত

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×