যুদ্ধবিরতি চুক্তি জোরদার প্রচেষ্টায় ইসরায়েলে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:৫২ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২৫

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি টিকিয়ে রাখতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ইসরায়েল সফরে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। সফরের মূল উদ্দেশ্য, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের স্থায়ী অবসানের পথ খোঁজা।
সফরের এক দিন আগে, সোমবার, ট্রাম্প প্রশাসনের দুই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনার নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর আগে, রোববার গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক হামলার ঘটনায় যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। ওই হামলা সংঘটিত হয় ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামাসের একটি আক্রমণের পর, যেখানে দুই সেনা নিহত হন। জবাবে গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
যদিও এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার দৃঢ়ভাবে বলেন, “যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর আছে।” তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে জানান, “হামাস যদি চুক্তি ভঙ্গ করে, তবে তাদের একেবারে নির্মূল করা হবে।”
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জেডি ভ্যান্স এবং বিশেষ দুই দূতকে ইসরায়েলে পাঠানো হয়েছে। ২০ দফার এই পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং হামাসের অস্ত্র সমর্পণ।
এই পুরো উদ্যোগের পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য; যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে গঠিত কাঠামো যেন ভেঙে না পড়ে। তাই ভ্যান্স, উইটকফ ও কুশনার এখন তেলআবিবে অবস্থান করছেন।
এদিকে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, নেতানিয়াহু হয়তো চুক্তি থেকে সরে গিয়ে হামাসের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান আবার শুরু করতে পারেন।
সোমবার ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে দেওয়া এক ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ভ্যান্সের সঙ্গে তার আলোচনা হবে নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং রাজনৈতিক সুযোগ নিয়ে। তিনি জানান, “রোববার হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ১৫৩ টন বোমা ফেলে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের এক হাতে অস্ত্র, অন্য হাতে শান্তির বার্তা। আপনি দুর্বলদের সঙ্গে নয়, শক্তিশালীদের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করুন। আজকের ইসরায়েল আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় বেশি শক্তিশালী।”
সূত্র: বিবিসি