নোবেল পুরস্কার পেলেন না ট্রাম্প, এত বড় ‘অপমান’!
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:৪২ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২৫

গাজা সংঘাতে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা এবং মধ্যস্থতা করেও নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন না সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরং এ বছরের শান্তির নোবেল চলে গেছে ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলীয় নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোর হাতে। এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্পকে এইভাবে উপেক্ষা করা যেন এক ধরনের অবমাননাই।
ট্রাম্প নিজেই আগেই মন্তব্য করেছিলেন, তাকে এই পুরস্কার না দিলে তা হবে “যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অপমানজনক”।
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শুক্রবার ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কারের জন্য মারিয়া করিনা মাচাদোর নাম ঘোষণা করে। গত কয়েক মাস ধরেই ট্রাম্পের সম্ভাব্য বিজয়ী হওয়ার গুঞ্জন ঘুরে বেড়াচ্ছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। গাজার দীর্ঘদিনের সংঘাত অবসানে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে শান্তি চুক্তি করাতে মধ্যস্থতা করে আলোচনায় আসেন ট্রাম্প। এরপর থেকেই অনেকে মনে করেন, এবারের শান্তির নোবেল ট্রাম্পের ঘরে যেতে পারে।
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট নিজেকেও তুলে ধরেন শান্তির দূত হিসেবে। তিনি দাবি করেন, “অনেক যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছি” এবং নিজেকে বলেন একজন “সেতুবন্ধনকারী”।
ট্রাম্পের দাবি, বহু মানুষ মনে করেন তিনি ইতোমধ্যেই নোবেল পেয়েছেন। প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেই তিনি এ পুরস্কারের জন্য প্রচারণায় নামেন।
খোদ ট্রাম্পের কথায়, “নোবেল পুরস্কার না পেলে এটি একটি বড় অপমান হবে”। তিনি আরও বলেন, “আমি সাতটি যুদ্ধের সমাধান করেছি”।
তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্পকে গত কয়েক বছরে শান্তির নোবেলের জন্য ১০ বারেরও বেশি মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নের তালিকায় ছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত, এক ইউক্রেনীয় রাজনীতিবিদ এবং যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন ও নরওয়ের একাধিক আইনপ্রণেতা।
তবে মনোনয়ন পাওয়া মানেই চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় থাকা নয়। নোবেল কমিটি কোনো প্রার্থীর তালিকা আগেভাগে প্রকাশ করে না, এবং মনোনয়নের সময়সীমার মধ্যে কারো নাম এসেছে কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
গাজা-ইসরাইল যুদ্ধের সমাপ্তিতে মধ্যস্থতার কৃতিত্বকে সামনে এনে ট্রাম্পকে অনেকেই এবারের নোবেল পুরস্কারের জন্য এগিয়ে রাখছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, পুরস্কারটি চলে গেল লাতিন আমেরিকার রাজনৈতিক অঙ্গনে।
সূত্র: ডেইলি মেইল