গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত ১১৫২ ইসরায়েলি নিরাপত্তাকর্মী


গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত ১১৫২ ইসরায়েলি নিরাপত্তাকর্মী

গাজায় চলমান যুদ্ধে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে দুই বছরের ব্যবধানে ইসরায়েলের মোট এক হাজার ১৫২ জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য উল্লেখ করে এ খবর জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন সেনা সদস্য, পুলিশ কর্মকর্তা, শিন বেত গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য এবং বেসামরিক নিরাপত্তাকর্মীরা। তাদের কেউ কেউ যুদ্ধক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের সময়, কেউবা যুদ্ধকালীন ডিউটিতে থাকাকালীন দুর্ঘটনা, অসুস্থতা কিংবা আত্মহত্যার কারণে মারা গেছেন।

নিহতদের বেশিরভাগ গাজা উপত্যকা, লেবানন ও পশ্চিম তীরে সংঘর্ষে প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে প্রায় ৪২ শতাংশের বয়স ২১ বছরের নিচে, যাদের অধিকাংশই বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবায় নিযুক্ত ছিলেন। অন্যদিকে, নিহতদের মধ্যে ১৪১ জনের বয়স ৪০ বছরের বেশি, যা বয়সভিত্তিক বিস্তৃত বৈচিত্র্যকে নির্দেশ করে।

এই নিহতদের পরিবারভুক্ত আছেন ছয় হাজার ৫০০ জনের বেশি। এর মধ্যে রয়েছেন ১,৯৭৩ জন পিতা-মাতা, ৩৫১ জন বিধবা, ৮৮৫ জন শিশু এবং ৩,৪৮১ জন ভাই-বোন।

নিহতদের মধ্যে ২০০ জনের বেশি সেনাকে জেরুজালেমের মাউন্ট হার্জেল সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৬৪টি কবরস্থান ও সামরিক প্লটে দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে এবং নতুন করে ২৪টি কবরস্থান সম্প্রসারিত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আটজনকে পারিবারিক সিদ্ধান্তে বিদেশে সমাহিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাফন কার্যক্রম, স্মৃতিস্মারক নির্মাণ ও সংস্কার এবং শোকাহত পরিবারকে আর্থিক ও মানসিক সহায়তা প্রদানে নিয়োজিত। এসব পরিবারের জন্য ৬ কোটি শেকেল (প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার) ব্যয়ে একটি বিশেষ সহায়তা সংস্কার কর্মসূচি চালু রয়েছে। এছাড়া সহায়তার অংশ হিসেবে একটি স্বেচ্ছাসেবক নেটওয়ার্কও গড়ে তোলা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধান আরিয়েহ মোয়ালেম বলেন, “ইসরায়েল রাষ্ট্রের ইতিহাস রচিত হয়েছে আমাদের সন্তানদের রক্ত দিয়ে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তাদের স্মৃতি স্মরণ ও সংরক্ষণ এবং শোকাহত পরিবারগুলোর পাশে থাকার কাজকে আমরা দায়িত্ব ও মিশন হিসেবে দেখি।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×