গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদের দাবিতে নেদারল্যান্ডসে লাখ লাখ মানুষের বিক্ষোভ


গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদের দাবিতে নেদারল্যান্ডসে লাখ লাখ মানুষের বিক্ষোভ

ইসরায়েলের গাজা অবরোধ ও চলমান সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে রোববার (৫ অক্টোবর) বিশাল বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ আয়োজন থেকে দেশটির সরকারের প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

স্থানীয় পুলিশ ও আয়োজকরা নিশ্চিত করেছেন, প্রায় আড়াই লাখ মানুষ এই গাজা যুদ্ধবিরোধী মিছিলে অংশ নিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই লাল পোশাক পরিধান করেছিলেন, যা ‘রেড লাইন’ নামক প্রতীকী কর্মসূচির অংশ ছিল।

বিক্ষোভটির নাম ‘রেড লাইন মার্চ’ এবং এটি গত মে মাসে দ্য হেগে অনুষ্ঠিত বৃহৎ সমাবেশের ধারাবাহিকতায় আয়োজন করা হয়। আয়োজকরা জানান, এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা ঘোষণার কয়েক সপ্তাহ আগে।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান প্যাক্স নেদারল্যান্ডস জানিয়েছে, তারা গাজার জন্য শান্তি কামনা করেন। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। রোববারের বৃষ্টির মধ্যেও ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কগুলো জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়। অনেক বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে “ফ্রি, ফ্রি প্যালেস্টাইন” স্লোগান দেন। অন্যদিকে, প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল “ইসরায়েলের জন্য লজ্জা!” এবং “গাজা মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরাও মুক্ত নই”।

মিছিলে যোগ দেওয়া ২৭ বছর বয়সী ডাচ নাগরিক এমিলিয়া রিভেরো রয়টার্সকে বলেন, “গাজায় যে নৃশংসতা চলছে তা সামনে রেখে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আমাদের ন্যূনতম দায়িত্ব।”

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, নেদারল্যান্ডস সরকার গাজায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ বন্ধে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আগামী ২৯ অক্টোবর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেই নির্বাচনের আগে তারা রাজনীতিকদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্যাক্স নেদারল্যান্ডসের পরিচালক রোলিয়েন সাস বলেন, “আমরা আশা করি শিগগিরই গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে, সেখানে মানুষ নিরাপদ থাকবে এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছাবে। তবে আমরা উদ্বিগ্ন যে ইসরায়েল দীর্ঘমেয়াদে গণহত্যা বন্ধে কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।”

সূত্র: রয়টার্স

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×