ইসরায়েলকে ফাঁকি দিয়ে গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ফ্লোটিলার ৩০ জাহাজ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:১৩ এম, ০২ অক্টোবর ২০২৫

ইসরায়েলি নজরদারি পাশ কাটিয়ে গাজার দিকে এগিয়ে চলেছে সুমুদ ফ্লোটিলা, যেখানে এখনো প্রায় ৩০টি জাহাজ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। গাজা উপকূল থেকে তাদের বর্তমান দূরত্ব মাত্র ৮৫ কিলোমিটার। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা, বৃহস্পতিবার ২ অক্টোবর।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি নৌবাহিনীর নজরদারির আওতার বাইরে থেকে গাজামুখী আন্তর্জাতিক মানবিক মিশনের এই বহরটি এগিয়ে চলেছে। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, তারা এখনো পূর্ণ উদ্যমে মিশন চালিয়ে যাচ্ছে এবং ইসরায়েলি বাধা তাদের লক্ষ্য পূরণে প্রতিবন্ধক হতে পারেনি।
ইসরায়েলের দাবি, তারা এখন পর্যন্ত এই বহরের ১৩টি জাহাজ আটক করেছে। তবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের পদক্ষেপ মিশনের অগ্রযাত্রা থামাতে পারবে না। ফ্লোটিলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “অবৈধভাবে আরোপিত ইসরায়েলি বাধা সত্ত্বেও গাজার অবরোধ ভাঙা এবং একটি মানবিক করিডর তৈরি করাই আমাদের অঙ্গীকার।”
তারা আরও জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় অনাহারে থাকা মানুষের জন্য খাদ্য ও মানবিক সহায়তা বহন করছে এই বহর। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা এই উদ্যোগকে সমর্থন জানায় এবং গাজায় চলমান মানবিক সংকট সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
সুমুদ ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জানান, “গাজামুখী সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে ৩৭ দেশের দুই শতাধিক কর্মীকে বন্দি করেছে ইসরায়েল।”
তার ভাষ্যমতে, “আটক হওয়া নৌযানগুলোতে ৩৭ দেশের ২০১ জন কর্মী ছিলেন। এর মধ্যে স্পেন থেকে ৩০ জন, ইতালি থেকে ২২ জন, তুরস্ক থেকে ২১ জন এবং মালয়েশিয়া থেকে ১২ জন অংশ নেন।”
এই অভিযানে বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ছাড়াও অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রুহি আক্তার রুহি।
আবুকেশেক আরও জানান, “গ্রেফতার ও বাধা সত্ত্বেও অভিযান চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং এখনো প্রায় ৩০টি জাহাজ গাজায় পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”
এদিকে, পরিবেশ আন্দোলনের পরিচিত মুখ গ্রেটা থানবার্গকেও এই অভিযানের সময় আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, ফ্লোটিলাটি ‘আইনসম্মত নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছে।’ তবে আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অধিকার রয়েছে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। নিরাপত্তার স্বার্থে এই অভিযান সরাসরি ভিডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হচ্ছে।