রাশিয়ার থেকে ইউক্রেন পুরো ভূখণ্ড ফিরে পেতে পারে: ট্রাম্প


রাশিয়ার থেকে ইউক্রেন পুরো ভূখণ্ড ফিরে পেতে পারে: ট্রাম্প

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানে পরিবর্তন দেখা গেছে। জাতিসংঘে ভাষণের পর জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ইউক্রেন চাইলে রাশিয়ার কাছ থেকে তার মূল ভূখণ্ড ফিরে পেতে পারে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ইউরোপ ও ন্যাটোর সহায়তায় ইউক্রেন “যেখান থেকে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল সেখানকার মূল সীমান্ত” ফিরে পেতে পারে। কারণ রাশিয়ার অর্থনীতি এখন চাপের মুখে রয়েছে।

তিনি আরও লেখেন, ইউক্রেন “হয়তো এর চেয়েও বেশি কিছু পেতে পারে”, যদিও বিস্তারিত কিছু বলেননি। উল্লেখযোগ্যভাবে, তিনি ক্রিমিয়ার কথা বলেননি, যেটি ২০১৪ সালে রাশিয়া দখল করে নেয়।

তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার সামরিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা মূল্যায়নের পর তিনি তার অবস্থান বদলেছেন। ট্রাম্প রাশিয়াকে “পেপার টাইগার” বলে অভিহিত করে বলেন, “পুতিন ও রাশিয়া ভয়াবহ অর্থনৈতিক সমস্যায় রয়েছে। এখন ইউক্রেনেরই সময়।”

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ট্রাম্পের অবস্থান পরিবর্তনকে “বড় অগ্রগতি” বলে স্বাগত জানান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ শেষে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে আগ্রহী, তবে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা নেই। সম্ভাব্য সহায়তার মধ্যে অস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ড্রোন থাকতে পারে।

পরে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ট্রাম্পের মন্তব্যে তিনি বিস্মিত হলেও এটিকে ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, “পুতিন বারবার ট্রাম্পকে মিথ্যা বলেছে।”

জাতিসংঘে ভাষণের সময় ট্রাম্প বলেন, ন্যাটো সদস্যদের আকাশসীমায় রুশ যুদ্ধবিমান ঢুকলে সেগুলো গুলি করে নামানো উচিত। পাশাপাশি, কিছু ন্যাটো দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা এখনো রুশ জ্বালানি কিনছে, যা দিয়ে “নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অর্থায়ন করছে।”

বিশ্লেষকরা ট্রাম্পের এ অবস্থানকে যুদ্ধসংক্রান্ত বড় ধরনের মোড় হিসেবে দেখছেন। এর আগে তিনি ইউক্রেনকে ভূখণ্ড ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে এক আলোচনায় ট্রাম্প জেলেনস্কিকে বলেছিলেন, “এখন তোমাদের হাতে জেতার মতো কার্ড নেই।”

গত আগস্টে পুতিনের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠকের আগে ট্রাম্প দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল রাশিয়াকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যাতে যুদ্ধবিরতির পথ প্রশস্ত হয়। যদিও এর আগেও তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুমকি দিলেও সেগুলো বাস্তবায়ন করেননি।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×