সুপার টাইফুন রাগাসায় তাইওয়ানে নিহত ১৪, নিখোঁজ ১২৪
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:১২ এম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুপার টাইফুন রাগাসার আঘাতে তাইওয়ানে এখন পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১২৪ জন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েন জেলায় ঝড়টি সবচেয়ে বেশি আঘাত হানে।
জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা লি কুয়ান-তিং বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, “আমাদের ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী বাহিনীর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঝড়ের আঘাতে এ পর্যন্ত হুয়ালিয়েনে ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৮ জন। এছাড়া এখনও কমপক্ষে ৩০ জন নিখোঁজ অবস্থায় আছেন। তাদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ চলছে।”
পরে এক বিবৃতিতে ফায়ার সার্ভিস জানায়, নিখোঁজের সংখ্যা ১২৪ জনে পৌঁছেছে। প্রবল বর্ষণে হুয়ালিয়েনের একটি হ্রদের সীমানা ভেঙে শহরজুড়ে পানি ঢুকে পড়েছে, কিছু এলাকায় পানি দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত উঠে গেছে।
রয়টার্স জানায়, রাগাসার প্রভাবে তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরের তীরবর্তী হংকংয়ে প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার থেকেই হংকংয়ে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
ফিলিপাইন, চীন এবং তাইওয়ানের বিজ্ঞানীরা জানান, দক্ষিণ চীন সাগরের একটি নিম্নচাপ থেকে উদ্ভূত এই টাইফুনটি সুপার টাইফুনে রূপ নেয়। সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় এটি ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় বাতানিজ দ্বীপে আঘাত হানে, তখন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার।
বাতানিজ দ্বীপ থেকে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলের দূরত্ব ৭১০ কিলোমিটার। রাগাসার প্রভাবে ফিলিপাইন, তাইওয়ান, হংকং এবং চীনের গুয়াংডং প্রদেশে রোববার থেকেই ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
হংকংয়ে জলোচ্ছ্বাসে একজন মা ও তার ৫ বছরের শিশু ভেসে যান। আবহাওয়া দপ্তর জানায়, মঙ্গলবার সেখানে ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল ১৩ ফুট পর্যন্ত।
যুক্তরাষ্ট্রে এমন ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় হারিকেন। যখন হারিকেন অত্যন্ত বিধ্বংসী হয়, তখন সেটি ‘ক্যাটাগরি ৫ হারিকেন’ হিসেবে বিবেচিত হয়। বিজ্ঞানীরা রাগাসাকে এমন হারিকেনের সাথেই তুলনা করেছেন।