ইসরায়েলের সঙ্গে সব বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল তুরস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০১:১৩ এম, ৩১ আগস্ট ২০২৫

তুরস্ক ইসরায়েলের সঙ্গে সকল ধরনের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে ছিন্ন করেছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি কিছু ফ্লাইটের জন্য আকাশসীমাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় এই ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।
তিনি বলেন, “আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ করেছি। আমাদের বন্দরগুলোতে ইসরায়েলি জাহাজ ভিড়তে পারবে না, আবার তুরস্কের পতাকাবাহী জাহাজগুলোও ইসরায়েলি বন্দরে যাবে না। অস্ত্র ও গোলাবারুদ বহনকারী জাহাজ বা বিমানকেও আমরা প্রবেশ করতে দিচ্ছি না।”
তুরস্কের এক কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞাটি মূলত সরকারি ইসরায়েলি ফ্লাইট কিংবা অস্ত্র ও গোলাবারুদ বহনকারী বিমানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; সাধারণ বাণিজ্যিক ফ্লাইট এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে না। এ ছাড়া তুর্কি বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন অনানুষ্ঠানিকভাবে শিপিং এজেন্টদের কাছ থেকে নিশ্চয়তা নিচ্ছে যে সংশ্লিষ্ট কোনো জাহাজ ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত নয় এবং সামরিক বা বিপজ্জনক মালামাল বহন করছে না।
তবে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জেরুজালেম পোস্ট-কে বলেন, “তুরস্ক এর আগেও বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু বাণিজ্য চলছিল।”
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের পর থেকেই আঙ্কারা ও তেলআবিবের সম্পর্ক টানাপোড়েনে রয়েছে। তুরস্ক ইসরায়েলকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে, যদিও ইসরায়েল সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর আগে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে “গাজার কসাই” বলে অভিহিত করেন এবং তার অপরাধকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেন।
২০২৩ সালে তুরস্ক ইসরায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেয় এবং ২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
সূত্র: আরটি