নরেন্দ্র মোদিকে পদত্যাগ করতে হতে পারে, জানালেন অমিত শাহ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:৪৮ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২৫

ভারতে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করেছে, এই বিলের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিল নিয়ে চলমান বিতর্কের মাঝেই নতুন হাইপ সৃষ্টি করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংসদে এক আলোচনায় তিনি বলেন, “আইনের শাসন সবার ওপরে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকেও জবাবদিহি করতে হবে, এমনকি পদত্যাগ করতেও হতে পারে।”
এই মন্তব্য দেশটির সংসদ ভবন থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যন্ত নতুন আলোড়ন ছড়িয়েছে। বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীরা বিলটি সংবিধানের মূল কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, “এটি সংবিধান আক্রমণের সমান, আমরা সর্বাত্মক আন্দোলনে নামব।”
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, “এই বিল জনগণের কণ্ঠরোধের ফাঁদ। সরকার জনসমর্থন হারিয়ে ভয় দেখানোর পথ বেছে নিয়েছে।”
বিপরীত দিকে, বিজেপি নেতা অমিত শাহ আশ্বস্ত করেছেন, “বিরোধীদের আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। সংবিধানের কাঠামো অক্ষুণ্ন রয়েছে। আইন ভাঙলে বা সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করলে প্রধানমন্ত্রীও রেহাই পাবেন না। আমাদের গণতন্ত্রের শক্তি এটাই।”
তাঁর এই বক্তব্যকে বিরোধীরা রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কংগ্রেসের সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ বলেন, “অমিত শাহ স্বীকার করেছেন, এই বিলের পর পরিস্থিতি এমন হতে পারে, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ অনিবার্য হবে।”
টাইমস অব ইন্ডিয়ার বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ প্রসঙ্গ টেনে আনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিরোধীদের হাতে অজান্তেই শক্তি তুলে দিয়েছেন।” আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, “বিজেপির ভেতরে চাপ অনুভূত হচ্ছে, যা বিরোধীরা সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করবে।”
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা