রোহিঙ্গা সম্মেলনে আজ যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা


রোহিঙ্গা সম্মেলনে আজ যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের টেকসই পথ খুঁজতে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সংলাপ। রোববার (২৪ আগস্ট) থেকে উখিয়ার ইনানীর হোটেল বে-ওয়াচ মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে এই সম্মেলনের, যা চলবে আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’।

প্রথম দিনেই বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে— নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

তিন দিনের এ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে (২৫ আগস্ট, সোমবার) উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের। আয়োজনকে ঘিরে বাংলাদেশের প্রত্যাশা, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কার্যকর উদ্যোগ নেবে।

প্রায় আট বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ব্যাপক হারে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। ইতোমধ্যেই ১৮ কোটির বেশি জনসংখ্যার এ দেশে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রোববারের অধিবেশনে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। তবে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন প্রায় শতাধিক রোহিঙ্গা প্রতিনিধি।

তাদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়, বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন মিয়ানমারকে প্রত্যাবাসনের জন্য কার্যকর চাপ প্রয়োগ করে। বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোকেও এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তারা।

একজন রোহিঙ্গা প্রতিনিধি বলেন, “আমরা শুধু শারীরিকভাবে মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে চাই না। আমরা আমাদের অধিকারসহ ফিরে যেতে চাই।”

এসময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করে সংকটের সমাধান করার দাবি জানান।

ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার জানান, সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তরিক। তবে নতুন করে আর কাউকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ প্রান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা সম্ভব। সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে, যাতে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা প্রবেশ করতে না পারে। ইতোমধ্যেই এ সংকট আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×