যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ৩ কোম্পানি দেউলিয়া পথে
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৭:৫৯ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০২৫

যুক্তরাজ্যে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরও তিনটি কোম্পানির দায়িত্ব নিয়েছে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রান্ট থর্নটনের সহযোগী সংস্থা।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম বিসনাউ জানায়, এই তিন প্রতিষ্ঠানের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৪২ মিলিয়ন পাউন্ড। গত ২৯ জুলাই এগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশাসকের অধীনে নেয়া হয়।
সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠান ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ বা কার্যক্রম চালাতে অক্ষম হলে দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। সাইফুজ্জামানের কোম্পানিগুলোর আর্থিক সংকট দেখা দেওয়ায় একই প্রক্রিয়ায় এগুলোও প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে গেছে।
যুক্তরাজ্যের আবাসন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। দুর্নীতির দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতিমধ্যেই তাকে অভিযুক্ত করেছে।
বিসনাউ-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে যাওয়া নতুন তিন প্রতিষ্ঠান হলো— জেটিএস প্রপার্টিস লিমিটেড, রুখমিলা প্রপার্টিস লিমিটেড এবং নিউ ভেঞ্চার্স (লন্ডন) লিমিটেড। এর মধ্যে জেটিএস প্রপার্টিসের সম্পদ সবচেয়ে বেশি— প্রায় ৭৭ মিলিয়ন পাউন্ড।
আর্থিক নথি বলছে, এই তিন আবাসন কোম্পানির কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা ৭৮ মিলিয়ন পাউন্ড। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডিবিএস, জেটিএস প্রপার্টিসের বিভিন্ন সম্পত্তির বিপরীতে ঋণ দিয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের শুরুতে সাইফুজ্জামানের আরও তিনটি কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছিল, যেগুলোর মোট সম্পদ ছিল ২৯ মিলিয়ন পাউন্ড। মূলত লন্ডনের ফ্ল্যাট বন্ধক রেখে এসব ঋণ নেওয়া হয়।
গত সপ্তাহে বিসনাউ জানায়, চলতি বছরের শুরুতে প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে যাওয়া সাইফুজ্জামানের কোম্পানিগুলোর সম্পদ বিক্রি প্রক্রিয়া শুরু করেছে গ্রান্ট থর্নটন।
যুক্তরাজ্যে সাবেক আওয়ামী এমপি ও মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি মূল্যের সম্পত্তি কিনেছিলেন, যদিও মন্ত্রী হিসেবে তার নির্দিষ্ট বেতন ছাড়া অন্য কোনো সরকারি আয় ছিল না। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) ইতিমধ্যেই তার ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ জব্দ করেছে।
সূত্র: বিসনাউ