আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার পর একযোগে অসুস্থ এয়ার ইন্ডিয়ার শতাধিক পাইলট


আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার পর একযোগে অসুস্থ এয়ার ইন্ডিয়ার শতাধিক পাইলট

আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার মাত্র চারদিন পরই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে একযোগে ছুটি নিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার ১১২ জন পাইলট। এই অভূতপূর্ব পদক্ষেপ ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন, বিশেষ করে পাইলটদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে আলোচনায়।

ভারতের কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী মুরলীধর মোহল বৃহস্পতিবার লোকসভায় এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ছুটি চাওয়া পাইলটদের মধ্যে ছিলেন ৫১ জন সিনিয়র কমান্ডার ও ৬১ জন জুনিয়র ফ্লাইট অফিসার। মন্ত্রীর ভাষায়, “দুর্ঘটনার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন অনেক পাইলট ও বিমানকর্মী। সেই কারণেই তারা অসুস্থতার জন্য ছুটি নিয়েছেন।”

মন্ত্রী মোহল আরও বলেন, এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় পাইলট ও বিমানকর্মীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা কতটা প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এয়ারলাইনের পাইলট ও ক্রুদের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, যেখানে জরুরি পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন গুজরাটের মেঘানিনগরে বিজে মেডিক্যাল কলেজ ক্যান্টিনের ওপর ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই-১৭১। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বিমানটির প্রায় সব যাত্রীসহ মোট ২৭৪ জন।

দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে — যাত্রাপথে বরাবর নিরাপদ হিসেবে পরিচিত বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের মতো একটি আধুনিক উড়োজাহাজ কীভাবে এভাবে বিধ্বস্ত হলো? উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে এই মডেলটির কোনো বড় দুর্ঘটনার রেকর্ড ছিল না।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ ছিল জ্বালানির দুইটি সুইচ রান থেকে কাটঅফ হয়ে যাওয়া। তবে কী কারণে বা কাদের ভুলে সুইচ বন্ধ হয়েছিল, তা নিয়ে এখনো স্পষ্ট নয় কর্তৃপক্ষ।

এই দুর্ঘটনা ও তার পরপরই পাইলটদের গণছুটির ঘটনা একসঙ্গে সামনে আসায়, ভারতের বিমান চলাচল খাতে পেশাগত মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×