ভারতের শিল্পপতি অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ


ভারতের শিল্পপতি অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ

ভারতের প্রখ্যাত শিল্পপতি অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিশাল অঙ্কের ঋণ অনুমোদন করান।

রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে প্রায় ৩,০০০ কোটি রুপি মূল্যমানের ঋণ কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে ইডি। সংস্থার দাবি, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে এই ঋণ আদায় করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই তথ্য প্রকাশ করে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই প্রক্রিয়ায় একটি নির্দিষ্ট ব্যাংকের প্রোমোটাররা ঋণ মঞ্জুরের আগে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত ব্যক্তিগত কোম্পানির মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করতেন, যা বেআইনি লেনদেনের প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এনডিটিভি আরও জানায়, ইডির তদন্তে ঋণ মঞ্জুর প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, ‘ক্রেডিট অ্যাপ্রুভাল মেমোরেন্ডাম’ পেছনের তারিখে তৈরি করা হয় এবং ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘন করে যথাযথ যাচাই-বাছাই ছাড়াই বিপুল বিনিয়োগ করা হয়। এমনকি মূল ঋণের শর্ত ভেঙে অর্থ পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন শেল কোম্পানি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে।

ইডি আরও জানায়, ঋণের অনুমোদনের ক্ষেত্রে একাধিক অসংগতি পাওয়া গেছে। অনেক ঋণের টাকা দেওয়া হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানকে, যারা আর্থিকভাবে দুর্বল। কিছু কোম্পানির ঠিকানা ও পরিচালক এক হলেও তাদের আলাদা সত্তা হিসেবে দেখানো হয়। এমনকি একাধিক ঋণ অনুমোদন হয়েছে আবেদন জমা দেওয়ার দিনেই কিংবা কোনও প্রকার আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের আগেই।

এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত অর্থ পাচার তদন্তে এখন পর্যন্ত অনিল আম্বানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩৫টির বেশি স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। দুটি পৃথক সিবিআই মামলার ভিত্তিতে ইডির এই তদন্ত শুরু হয়েছে, যেগুলোতে আর্থিক জালিয়াতি ও বেআইনি ঋণ ব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পরিকল্পিতভাবে একটি প্রতারণার ষড়যন্ত্র তৈরি করা হয়েছিল যার মাধ্যমে ব্যাংক, বিনিয়োগকারী, শেয়ারহোল্ডার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রতারিত করা হয়েছে।

ইডির চলমান অভিযানে অন্তত ৫০টি কোম্পানিতে তল্লাশি চালানো হয়েছে এবং ২৫ জনের বেশি ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×