সংঘর্ষে উত্তাল থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত, স্কুল বন্ধ ঘোষণা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৫:৫৯ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২৫

থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে টানটান উত্তেজনার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে থাইল্যান্ডের সীমান্ত অঞ্চলের স্কুলগুলো। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে নতুন করে দুই দেশের সেনাদের সংঘর্ষের পর থাইল্যান্ডের শিক্ষামন্ত্রী নারুমোন পিনোসিনাওয়াত সুরিন প্রদেশের ফানম ডঙ রাক এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দেন।
এই দিন ভোরে থাইল্যান্ডের প্রাসাত তা মুয়েন ও প্রাসাত তা কাওয়াই এলাকায় গোলাগুলিতে জড়ায় দুই দেশের সেনারা। মে মাস থেকেই সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে, যার সূচনা হয় এমেরাল্ড ট্রায়াঙ্গল নামে পরিচিত থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া-লাওস সীমান্তে। ওই সময় সংঘর্ষে কম্বোডিয়ার এক সেনা নিহত হন।
দুই দেশই সংঘর্ষের জন্য একে অপরকে দায়ী করে এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায়। যদিও উত্তেজনা প্রশমনের কথা বললেও সীমান্তে সেনা মোতায়েন ও হুঁশিয়ারি চালিয়ে যাচ্ছে উভয় পক্ষ।
এদিকে, থাই কর্তৃপক্ষ সীমান্ত চেকপয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী শহরগুলোতে ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়। সীমান্ত পারাপারেও আরোপ করা হয় কড়াকড়ি।
জবাবে কম্বোডিয়া থাইল্যান্ড থেকে ফল ও সবজি আমদানি বন্ধ করে দেয় এবং থাই সিনেমা ও নাটকের সম্প্রচার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
সম্প্রতি একের পর এক স্থলমাইন বিস্ফোরণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। ১৬ জুলাই এক থাই সেনা পা হারান এবং বুধবার আরও একটি বিস্ফোরণে পাঁচ সেনা আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের পা উড়ে যায়।
এই সংঘর্ষ কেবল সীমান্তে নয়, থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে। ১ জুলাই সাময়িক বরখাস্ত করা হয় প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন শিনাওয়াত্রাকে। এর আগে, জুন মাসে কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনের সঙ্গে তার একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়, যেখানে তিনি থাই সেনাবাহিনী নিয়ে সমালোচনা করেন।
মাত্র ৩৮ বছর বয়সে দায়িত্ব নেওয়া শিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী হলেও, সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
সূত্র: সিএনএন, বিবিসি