তেল আবিবে হাজারো ইসরায়েলির বিক্ষোভ, চুক্তির মাধ্যমে জিম্মিমুক্তির দাবি


তেল আবিবে হাজারো ইসরায়েলির বিক্ষোভ, চুক্তির মাধ্যমে জিম্মিমুক্তির দাবি

তেল আবিবের রাস্তায় গতকাল শনিবার (১৯ জুলাই) রাত ছিল উত্তাল। গাজা উপত্যকার সকল জিম্মির মুক্তির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির দাবি জানিয়ে শহরের কেন্দ্রস্থলে হাজার হাজার ইসরায়েলি নাগরিক জড়ো হয়েছিলেন।

ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা হোস্টেজ স্কয়ার থেকে একটি মিছিল শুরু করে হায়ারকন স্ট্রিটে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের উপদূতাবাস শাখার দিকে অগ্রসর হন। তাদের হাতে ছিল ব্যানার, মুখে ছিল স্লোগান—যুদ্ধের অবসান এবং বন্দীদের দ্রুত মুক্তির দাবিতে।

এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত সাবেক জিম্মিরাও। তারা সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলি শীর্ষ নেতাদের এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি, যেন একটি ব্যাপক ও কার্যকর চুক্তি দ্রুত চূড়ান্ত করা হয়।

পত্রিকাটি আরও জানায়, শুধুমাত্র তেল আবিবেই নয়, একই রকম বিক্ষোভ দেখা গেছে উত্তরাঞ্চলের কারকুর জংশন ও রথসচাইল্ড স্ট্রিটসহ বিভিন্ন এলাকায়। এসব স্থানে শত শত মানুষ সমবেত হয়ে একই দাবিতে আওয়াজ তুলেছেন।

গত ২১ মাসে বন্দী বিনিময় ও যুদ্ধ বন্ধে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার পরোক্ষ আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো স্থায়ী সমাধান আসেনি।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিকভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েল ২০২৩ সালের শেষ ভাগ থেকে গাজা উপত্যকায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৯ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

অবিরাম বিমান হামলায় গাজার অবকাঠামো প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইতিমধ্যে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। পাশাপাশি, ইসরায়েল বর্তমানে গাজার ওপর চালানো অভিযানের কারণে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×