দুই পাইলটের সম্মিলিত উড়ান অভিজ্ঞতার ৯,৩০০ ঘণ্টাও বাঁচাতে পারলো না ২৪১ প্রাণ


rtu4ytut75.webp
সংগৃহীত ছবি

আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার ৩২ সেকেন্ডের মধ্যেই ভয়াবহভাবে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। বিমানে ২৩০ জন যাত্রী ও ১১ জন ক্রু ছিলেন। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২৪১ জন। বেঁচে ফিরে শুধু একজন। তিনি ব্রিটিশ-ভারতীয় যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ। 

সূত্র মতে, দুটি পাইলটের সম্মিলিত উড়ান অভিজ্ঞতা ছিল ৯,৩০০ ঘণ্টা । ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়ালের ছিল ৮,২০০ ঘণ্টার অভিজ্ঞতা, আর ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডারের ছিল ১,১০০ ঘণ্টা।

ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) জানান,দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্যাপ্টেন সাবারওয়াল 'মে-ডে' সংকেত পাঠান। এরপর মাত্র ৮২৫ ফুট উচ্চতায় বিমানটি ভেঙে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়।

মুম্বাইয়ের পওয়াইয়ে বসবাসকারী ক্যাপ্টেন সাবারওয়াল ছিলেন অবিবাহিত এবং তাঁর প্রবীণ বাবার সঙ্গে থাকতেন।

শিবসেনা নেতা দিলীপ লান্ডে জানান, “মাত্র কয়েক দিন আগে তিনি তাঁর বাবাকে বলেছিলেন, চাকরি ছেড়ে তার দেখাশোনা করবেন।”

সাবারওয়ালের পরিবার বিমান চলাচল পেশার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। তাঁর বাবা ছিলেন ডিজিসিএ-র প্রাক্তন কর্মকর্তা এবং তাঁর দুই ভাতিজাও পাইলট।

এক প্রতিবেশী বলেন, “প্রতিবার বের হওয়ার আগে সুমিত বলতেন, ওনার বাবার দিকে খেয়াল রাখতে। আজ সেই বাবাই একা হয়ে গেলেন।”

সহ-পাইলট ক্লাইভ কুন্ডারও ছিলেন অভিজ্ঞ ও উৎসাহী মাত্র ১,১০০ ঘণ্টার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সহ-পাইলট ক্লাইভ কুন্ডার এসেছিলেন একটি অ্যাভিয়েশন-প্রেমী পরিবার থেকে। তাঁর মা ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কেবিন ক্রু। দুর্ঘটনার সময় ক্লাইভের বাবা-মা ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে মেয়ের সঙ্গে।

এই বিষয়ে, অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি ইনস্টাগ্রামে জানান, ক্লাইভ ছিলেন তাঁর কাকা ক্লিফোর্ড কুন্ডারের ছেলে। তিনি লেখেন, “আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। পরিবারের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা।”

সূত্র: এনডিটিভি 

 

/এএস 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×