সালমান শাহ হত্যার আসামিদের ফোন ট্র্যাকিং হচ্ছে: পুলিশ

বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর প্রায় ২৯ বছর পর অবশেষে মামলাটি আত্মহত্যা নয়, হত্যা মামলা হিসেবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার (২০ অক্টোবর) এই নির্দেশনার পর রমনা থানা পুলিশ ১১ জনকে আসামি করে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে।

দীর্ঘ প্রায় তিন দশক ধরে ছেলের মৃত্যুর ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী।

রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম ফারুক জানান, “সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের দেশে অবস্থান চিহ্নিত করার কাজ চলছে। কয়েকজন দেশের বাইরে রয়েছেন। যারা দেশে আছেন, তাদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”

এদিকে ১৯৯৭ সালের আলোচিত জবানবন্দি আবারও সামনে এসেছে, যেখানে মামলার ১১ নম্বর আসামি রেজভী আহমেদ ফরহাদ সালমান শাহর হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছিলেন।

রেজভী তার ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে স্বীকার করেন, “আমরা সালমান শাহকে হত্যা করেছি। হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে সাজানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে সামিরা ও তার পরিবারসহ অনেকে জড়িত ছিল, আমিও ছিলাম।”

জবানবন্দিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সালমান শাহকে হত্যার জন্য ১২ লাখ টাকায় চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তি করেছিলেন সালমানের শাশুড়ি লতিফা হক লুসি। এ পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডন, ডেভিড, ফারুক ও জাভেদসহ আরও কয়েকজন।