আগামী মাস থেকে শুরু স্কুল ফিডিং কর্মসূচি : শিক্ষা উপদেষ্টা
- শিক্ষা ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৩:৫৭ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবার দিতে আসছে সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত স্কুল ফিডিং কর্মসূচি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে এক মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি আশা করি সেপ্টেম্বর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। প্রকল্পের ক্রয়প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যারা বাস্তবায়ন করবে তাদের প্রশিক্ষণও চলছে। আগস্টের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করে সেপ্টেম্বরেই মাঠে নামা যাবে।”
উপদেষ্টা আরও জানান, দুটি পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে এই ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্যে একটি বড় প্রকল্পের আওতায় ১৫০টি উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কার্যক্রম চালু হবে। অন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে কক্সবাজার ও বান্দরবান এলাকায়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, বিভাগীয় কমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান এবং পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
শিক্ষকদের অবস্থা এবং নিয়োগ বিষয়ে ডা. বিধান রঞ্জন বলেন, “প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড প্রদানসহ প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ এবং পিএসসির মাধ্যমে তিন হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।” তিনি আরও জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিম্নআয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষা মানোন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষার আওতায় না থাকলেও তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা চালু রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সরকারি বিদ্যালয়ের পাঠদিবস কম হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এক বছরে স্কুল থাকে মাত্র ১৮০ দিন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংযোগ যদি না থাকে তাহলে শেখার সুযোগ সীমিত হয়। তাই সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদ্যালয়কে শিশুদের আনন্দঘন পরিবেশে রূপান্তর করা হচ্ছে।”
রংপুর জেলা প্রশাসন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের যৌথ আয়োজনে আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়’ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল।
সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন। তারা মাঠপর্যায়ের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং অবকাঠামোগত ঘাটতি, শিক্ষক সংকট, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অপ্রতুল নিয়ন্ত্রণ, প্রশিক্ষণের অভাব, মূল্যায়ন পদ্ধতির দুর্বলতা ও শিশুদের অংশগ্রহণমূলক শেখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন।