গোবিপ্রবির সাবেক ভিসিসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৫:০২ পিএম, ০২ মার্চ ২০২৫

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) সাবেক ভিসিসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুদক গোপালগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন সেকশন অফিসার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ কমিটির সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন, সেকশন অফিসার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ কমিটির সদস্য এবং ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোশারফ আলী, সেকশন অফিসার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ কমিটির সদস্য এবং খুলনা বিশ্বদ্যালয়ের এগ্রাটেকনোলজি ডিসিপ্লিন বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মান্নান, গোবিপ্রবির সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বর্তমান সেকশন অফিসার যশোরের নোয়াপাড়া এলাকার আদির উদ্দিন চৌধুরীর মেয়ে শারমিন চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/সেকশন অফিসারের ১৬টি পদসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও ২০ জনকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/ সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ওই পদে চাকরি প্রত্যাশী ছিলেন ৮৭০ জন।
তবে সাবেক ভিসি ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের স্বাক্ষরিত আবেদকারীর ডাটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার শারমিন চৌধুরীর নামের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া ৮৭০ জন আবেদনকারী থাকলেও নিয়োগ কমিটির সুপারিশের তালিকায় ৮৭৩ ক্রমিক নম্বরে দেখানো হয় আবেদনকারী শারমিন চৌধুরীর নাম। জাল-জালিয়াতি করে নিয়োগ কমিটির সদস্যরা শারমিন চৌধুরীকে নিয়োগ দেয়। শুধু তাই নয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বয়সসীমা ৩২ বছর থাকলেও বাস্তবে নিয়োগপ্রাপ্ত শারমিন চৌধুরীর বয়স ছিল ৩৩ বছর।
দুদক জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘অবৈধ নিয়োগে জড়িত থাকায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা তুহিন মাহামুদ ও সহকারী রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম হিরার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।’