আনোয়ারায় এনসিসি ব্যাংকের বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ ও যন্ত্রপাতি বিতরণ

এনসিসি ব্যাংক সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে সম্প্রতি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৩০০ প্রান্তিক চাষীর মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ ও যন্ত্রপাতি বিতরণ করেছে।এনসিসি ব্যাংকের পরিচালক সৈয়দ আসিফ নিজাম উদ্দীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রান্তিক চাষীদের মাঝে সরিষাসহ বিভিন্ন সবজির বীজ এবং ব্যাকপ্যাক স্প্রেয়ার বিতরণ করেন।ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মোঃ মনিরুল আলমের সভাপতিত্বে এসময় আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ইভিপি এবং চট্টগাম অঞ্চলের প্রধান আলী তারেক পারভেজ ও আনোয়ারা শাখার ব্যবস্থাপক এস.এম মইন উদ্দীন আজাদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।এনসিসি ব্যাংকের পরিচালক সৈয়দ আসিফ নিজাম উদ্দীন বলেন, এনসিসি ব্যাংক দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষি উপকরণ এবং কৃষিযন্ত্রপাতি নিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এনসিসি ব্যাংক কৃষকদের পাশে দাড়িয়েছে। অত্র এলাকার চাষীদের সরিষাসহ অন্যান্য সবজি চাষে আরও বেশী উদ্বুদ্ধ করতে এবং উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এছাড়া, ভবিষ্যতে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, পাবনা ও অন্যান্য জেলায় পেঁয়াজ সংরক্ষণ ও সবজি চাষে কৃষকদের সহায়তায় এনসিসি ব্যাংকের পরিকল্পনার কথা তিনি উল্লেখ করেন।

ইসলামী ব্যাংকের মাস্টার কার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস অর্জন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি দুই বিভাগে মাস্টার কার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪ অর্জন করেছে। মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ লেনদেনের জন্য “এক্সিলেন্স ইন প্রিপেইড কার্ড (ডমেস্টিক) এবং মাস্টার কার্ড ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাথে কো-ব্রান্ডেড স্মার্ট পার্কিং কার্ড চালুর মাধ্যমে নতুন সেবা উদ্ভাবনের জন্য “এক্সিলেন্স ইন প্রোডাক্ট ইনোভেশন ” পুরস্কার অর্জন করেছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর ২০২৪)যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কার্ড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ড কর্তৃক ঢাকার রেডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত “মাস্টার কার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪” অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর আহসান এইচ মনসুরের নিকট থেকে ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোশাররফ হোসেন অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে মাস্টারকার্ডের এদেশীয় ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামালসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন ব্যাংক, ফিনটেক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

৫৭ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন কর সংক্রান্ত সেবা পেতে ঘুষ দিতে হয়

দেশে ব্যবসায় পরিচালনায় ঘুষ লেনদেন আরো বেড়েছে। ৫৭ শতাংশের বেশি ব্যবসায়ী মনে করেন, কর সংক্রান্ত সেবা পেতে ঘুষ দিতে হয়। পূর্বের বছর এ অভিযোগ ছিল ৪৭ দশমিক আট শতাংশ ব্যবসায়ীর। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) পরিচালিত এক্সিকিউটিভ ওপেনিয়ন সার্ভে (ইওএস) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। জারিপটি পরিচালিত হয় ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সহায়তায়। জরিপে তথ্য সংগ্রহ করা হয় গেল এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে। এতে সেবা খাত, শিল্প ও কৃষি খাতের দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা তাদের মতামত দেন। রোববার (১৬ নভেম্বর) ‘বাংলাদেশের ব্যবসায় পরিবেশ ও প্রক্রিয়া; অর্ন্তবর্তী সরকারের জন্য এজেন্ডা’ শীর্ষক সংলাপে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। ঢাকার হোটেল ব্র্যাক ইনে এ আয়োজনে সরকারের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা ও দেশি বিদেশি উদ্যোক্তা উপস্থিত ছিলেন। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন সংলাপ পরিচালনা করেন। জরিপ পরিচালনতায় নেতৃত্ব দেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ঘুষের প্রকৃত চিত্র হয়তো প্রতিবেদনে উঠা আসা তথ্যের চেয়ে বেশি। গেল ৮ আগস্ট গঠিত অর্ন্তবর্তী সরকার সংস্কার এজেন্ডা নিয়েছে। গেল সরকারের সময় ব্যবসায় পরিবেশে লক্ষণীয় উন্নতি হয়নি। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে ব্যবসায়-বাণিজ্য কুক্ষিগত ছিল। বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা ছিল।’ খন্দকার গোলাম জানান, ব্যবসায় পরিচালনায় দুর্নীতি, আমলাদের অদক্ষতা, বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হারের অস্থিতিশীলতা, মূল্যস্ফীতিসহ ১৭ ধরনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন জরিপে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা।

দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দুই লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা

টানা চার মেয়াদ ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি লুটপাট চালিয়েছে ব্যাংকিং খাতে। ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ শুধু দিনে দিনে বেড়েছেই। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ১৭ শতাংশ। গত ১৬ বছরের মধ্যে বিতরণ করা ঋণ ও খেলাপি ঋণের সর্বোচ্চ অনুপাত এটি।রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হালনাগাদ বিবরণী থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৮২১ কোটি টাকার ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ।সেপ্টেম্বর শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২৬ হাজার ১১১ কোটি টাকা, যা তাদের বিতরণ করা ঋণের ৪০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা, যা তাদের বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। বিদেশি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বা বিতরণ করা ঋণের ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণ ছিল দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে ব্যাংকগুলোর প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এতদিন যা স্বার্থান্বেষী মহলগুলোর কারসাজিতে চাপা পড়েছিল।২০০৯ সালের শুরুতে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। এরপর থেকে আওয়ামী সরকারের আমলে ব্যাংক খাতে অনিয়ম ও কেলেঙ্কারি বাড়তে থাকে। ফলে খেলাপি ঋণও ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে।

রমজান উপলক্ষে কমছে ভোজ্যতেলে আমদানি শুল্ক

রমজানে নিত্য পণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ভোজ্যতেলের আমদানি শুল্ক দশ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। রোববার (১৭ নভেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস সেবা সহজে যাত্রীদের জন্য হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় খেজুর আমদানিতেও শুল্ক কমানোর পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। আবদুর রহমান খান বলেন, ‘রোজায় ভোগ্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।’ করদাতাদের উৎসাহ দিতে আগামী বছর থেকে ই-রির্টান দাখিলের জন্য মোবাইল আ্যাপ চালু করা হবে বলে জানান এনবিআরের চেয়ারম্যান। আবদুর রহমান খান আরো জানান, স্বর্ণ চোরাচালান রোধে বিদ্যমান ব্যাগেজ রুলস সংশোধনের কাজ চলছে। যেসব এয়ারক্রাফটে চোরাচালানের স্বর্ণ পাওয়া যাবে সে সব এয়ারক্রাফটের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেজন্য সিভিল এভিয়েশনের সাথে আলোচনা করা হবে।

পেট্রোবাংলার সামনে থেকে সরে গেলেন চাকরিপ্রত্যাশীরা

মৌখিক পরীক্ষা ইচ্ছাকৃতভাবে স্থগিত করার অভিযোগে পেট্রোবাংলার সামনে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা চাকরিপ্রত্যাশীরা সরে গেছেন। সমস্যা সমাধানে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারের আশ্বাস পেয়ে রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন তারা। আন্দোলনকারীরা জানান, সমস্যা সমাধানে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান। আশ্বাস অনুযায়ী কাজ না হলে পরবর্তী আরো কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা। এর পূর্বে, রোববার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টা দিকে মৌখিক পরীক্ষা ইচ্ছাকৃতভাবে স্থগিত করার অভিযোগে তুলে পেট্রোবাংলার সামনে অবস্থান নেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। এতে পেট্রো বাংলার ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন সংস্থাটির শত শত কর্মকর্তা-কর্মী।সে সময় আন্দোলনকারীরা জানান, পেট্রোবাংলার অধীন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের রাজস্ব খাতে ১৭ ক্যাটাগরিতে কর্মচারী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বার বার অজুহাত দেখিয়ে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হচ্ছে। তাদের দাবি দ্রুত যেন মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয় ও ফলাফল প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। এই এক দফা দাবি না মানা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি থেকে ফিরে যাবেন না।

ভিসার চারটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার জিতল ব্র্যাক ব্যাংক

কার্ড ইস্যু ও আকুয়্যারিং এবং ভ্যালু-অ্যাডেড সার্ভিস ক্যাটাগরিতে অসাধারণ সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ, এই বছর ভিসার চারটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। ভিসা লিডারশিপ কনক্লেভ ২০২৪ অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংক-কে কনজিউমার ডেবিট কার্ড, কমার্শিয়াল ডেবিট কার্ড, মার্চেন্ট আকুয়্যারিং পিওএস এবং ভ্যালু-অ্যাডেড সার্ভিসেস (ভিএএস)—এই চারটি ক্যাটেগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়। এই কনক্লেভ-এ বাংলাদেশে ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে অবদান রাখা বিভিন্ন ব্যাংক, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং মার্চেন্টদের সম্মানিত করা হয়। সম্প্রতি ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে আয়োজিত এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক রাফেজা আখতার কান্তা; ভিসা’র ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার গ্রুপ কান্ট্রি ম্যানেজার সন্দীপ ঘোষ এবং ভিসা’র বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর এফ হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন। ক্রমবর্ধমান গ্রাহকসংখ্যা এবং সারা দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে কার্ড, ই-কমার্স এবং আকুয়্যারিং ব্যবসায় একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক। এই সম্মাননা প্রসঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, পরপর কয়েক বছর ভিসা থেকে পাওয়া এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার কার্ড ইস্যু ও অ্যাকুয়্যারিং ব্যবসায়ে আমাদের শক্তিমত্তা এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন নতুন ব্যবসায়িক ক্ষেত্র উদ্ভাবনের প্রতিফলন বহন করে। তিনি আরও বলেন, আমাদের আকর্ষণীয় কার্ড অফার এবং সুবিস্তৃত অ্যাকুয়্যারিং সেবাগুলো, রিটেইল এবং এসএমই গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জনে সহায়ক হচ্ছে এবং আমাদের মার্কেট শেয়ার জোরদার করছে। একটি গ্রাহক-কেন্দ্রিক ব্যাংক হিসেবে, আমরা গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ এবং ব্যবসায়িক ধারা বজায় রাখতে নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা দিতে থাকবো। এই মাইলফলক অর্জনে আমাদের স্টেকহোল্ডারদের অটুট সমর্থন এবং পার্টনারশিপের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

আমাদের আর্থিক খাত এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে : গভর্নর

বাংলাদেশের অর্থনীতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীতে মাস্টারকার্ড আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে না। আমাদের আর্থিক খাত এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে।তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই আর্থিক খাতে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে হবে। আর্থিক খাতে আমি কোনো বড় ঝুঁকি দেখি না। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন আহসান এইচ মনসুর। এদিকে আজ দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে ‘পলিসি ডায়ালগ অন ফিন্যানসিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিগত আওয়ামী সরকার ব্যাংকগুলোকে নিঃশেষ করে দিয়ে গেছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানগুলোই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। অনেক প্রকল্প করা হয়েছে, ফিজিবিলিটি টেস্ট করা হয়নি। সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে উপদেষ্টা বলেন, অর্থনৈতিক খাতে যেভাবে লুটপাট হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ইতোমধ্যে বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আমাদের ঋণ দিতে বেশ আগ্রহী। আশা করছি এ অবস্থা দূরতই উন্নতি হবে। আদানির বিদ্যুৎ ইস্যুতে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আদানিকে চার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে কিন্তু কোন কর নেয়া হয়নি। এটি কোনো চুক্তি হলো? আপনারা শুনে আরও আশ্চর্য হবেন, সারের ১৩৫ মিলিয়ন ডলার বিগত সরকার পরিশোধ করেনি। আমরা এসে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করেছি রিজার্ভে হাত না দিয়ে। বিগত সরকারের বেশ কিছু সিদ্ধান্তের কারণে আজকে অর্থনীতির এমন দূরাবস্থা বলে মন্তব্য করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ভবিষ্যতে কেউ টাকা পাচার করলে ধরা পড়বে। প্রাইভেট কিংবা পাবলিক সেক্টর যেই হোক ধরা পড়বে।

চিত্রনায়িকা আঞ্জুমান আরা শিল্পীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ

দেশের এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা আঞ্জুমান আরা শিল্পীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে ফ্রিজ করা হয়েছে তার স্বামী প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি ডা. এইচবিএম ইকবালসহ তার তিন সন্তানের অ্যাকাউন্ট। তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সব ব্যাংকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে বিএফআইইউ।চিঠিতে বলা হয়েছে, হেফজুল বারি মোহাম্মদ ইকবাল ওরফে এইচবিএম ইকবাল, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পী, ডা. ইকবালের প্রথম স্ত্রী প্রয়াত মমতাজ বেগম পক্ষের সন্তান মঈন উদ্দিন ইকবাল, ইকরাম ইকবাল এবং নওরীন ইকবালের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হলো। আগামী ৩০ দিনের জন্য এসব ব্যক্তি ও একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হিসাবের লেনদেন স্থগিত থাকবে।এতে আরও বলা হয়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২৩(১)(গ) ধারা অনুযায়ী এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব ব্যক্তি ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত সব হিসাবের তথ্য আগামী ৪ দিনের মধ্যে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো। এসব ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক হিসাবে লেনদেন যেন শুধু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিষয়েই হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের সময়ের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, সাংবাদিক, পুলিশসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ বা তথ্য তলব করেছে বিএফআইইউ।

পাকিস্তান থেকে জাহাজে চট্টগ্রামে এলো ৬১১ টন পেঁয়াজ

পাকিস্তানের করাচি থেকে প্রথমবার জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে ২৯৭ টিইইউ’স পণ্য। যার ১১৫ টিইইউ’স টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল সোডিয়াম কার্বনেট বা সোডা অ্যাশ। ৬১১ টন পেঁয়াজ আনা হয়েছে ৪২ টিইইউ’স রেফার কনটেইনারে। ১৪ টিইইউ’স কনটেইনারে আলু আমদানি হয়েছে ২০৩ টন।খনিজ পদার্থ ডলোমাইট রয়েছে ৪৬ কনটেইনারে। এসেছে ৩৫ টিইইউস চুনাপাথর। ৬ কনটেইনারে ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট আনা হয়েছে। কাচশিল্পের কাঁচামাল ভাঙা কাচ ১০ কনটেইনারে। শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের কাঁচামাল কাপড়, রং ইত্যাদি আছে ২৮ কনটেইনারে। একটি কনটেইনারে রয়েছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। বন্দর, কাস্টমস, আমদানিকারকসহ বিভিন্ন সূত্রে এসব বিষয় জানা গেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আইএসপিএস কোড মেনে চলা একটি আন্তর্জাতিক বন্দর। আমদানিকারকরা এলসির মাধ্যমে পণ্যচালান জাহাজের মাধ্যমে বন্দরে আনবেন। স্ক্যানিংসহ কাস্টম হাউসের নিয়মকানুন মেনে পণ্য খালাস নেবেন তারা। করাচি থেকে আসা পণ্যের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পানামা পতাকাবাহী YUAN XIANG FA ZHAN নামের কনটেইনার জাহাজটি দুবাই থেকে করাচি হয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছে সোমবার (১১ নভেম্বর)। জাহাজটিতে ৩২৮ বক্স কনটেইনারে ৩৭০ টিইইউ’স (২০ ফুট হিসেবে) কার্গো চট্টগ্রাম বন্দরে আনলোড হয়েছে। পরদিন জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায়। চট্টগ্রাম বন্দরে আনলোড হওয়া পণ্যের মধ্যে কী আছে, ওজন কত, শুল্ক কত এসব কাস্টমস জানবে। আমরা শুধু কনটেইনার প্রতি বন্দরের চার্জ, স্টোর রেন্ট এগুলো আদায় করবো এবং খালাস না হওয়া পর্যন্ত কনটেইনারগুলো বন্দরের জিম্মায় রাখবো। সূত্র জানায়, ওই জাহাজে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছে ৭৩ একক কনটেইনার। এর মধ্যে রয়েছে খেজুর, জিপসাম, স্ক্র্যাপ, মার্বেল ব্লক, কপার ওয়্যার, রেজিন ইত্যাদি পণ্য। শুধু একটি কনটেইনারে এসেছে মদ। দুবাইভিত্তিক কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’ কয়েকটি দেশের বন্দরকে নতুন রুটে যুক্ত করেছে। জাহাজটি প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত হয়ে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে আসবে। এরপর চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। আবার ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া হয়ে আবার দুবাই চলে যাবে। জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট রিজেন্সা লাইন্স লিমিডেটের একজন কর্মকর্তা জানান, জাহাজটি দুবাই থেকে করাচি হয়ে চট্টগ্রাম এসেছে। চট্টগ্রাম থেকে কয়েকটি দেশের বন্দর ঘুরে আবার দুবাই যাবে। আশাকরি এ রুটে জাহাজটি নিয়মিত চলবে।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে শরিয়াহ অ্যাওয়ারনেস কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

ব্যাংকিং কার্যক্রমে শরিয়াহ পরিপালনের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৩৮টি শাখার শাখাপ্রধান, ম্যানেজার অপারেশনস এবং ইনভেস্টমেন্ট ইনচার্জদের নিয়ে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুম-এ ‘শরি‘আহ অ্যাওয়ারনেস কর্মসূচি’ আয়োজন করেছে শরিয়াহ ভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি.।বৃহস্পতিবার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের শরি‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও প্রধান আলোচক ছিলেন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক শরি‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. যুবাইর মোহাম্মদ এহসানুল হক এবং উন্মুক্ত আলোচনা পর্বের মডারেটর ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মো. সিদ্দিকুর রহমান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন ব্যাংকের এসএভিপি ও শরি‘আহ সেক্রেটারিয়েট ডিভিশনের প্রধান কে. এম. রহমাতুল্লাহ।

ইসলামী ব্যাংকে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমি (আইবিটিআরএ)-এর উদ্যোগে ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিএস)-এর বিভিন্ন জোন অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘পারফরম্যান্স ইভ্যালুয়েশন’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালায় বক্তব্য দেন। কর্মশালায় বিভিন্ন সেশনে বক্তব্য দেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, মো. আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মাহবুব আলম।এ সময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও আইবিটিআরএ-এর প্রিন্সিপাল কে এম মুনীরুল আলম আল-মামুন উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আ ফ ম আনিসুর রহমান।ব্যাংকের বিভিন্ন জোনের আরডিএস ও ইউপিডিএস নির্বাহী ও কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের দুইটি কিডনিই খেয়ে ফেলেছে বিগত সরকার

‘বাংলাদেশের দুইটি কিডনি। একটি ফিন্যানসিয়াল সেক্টর, আরেকটি এনার্জি সেক্টর। দুইটিই খেয়ে ফেলেছে বিগত সরকার’। এমন মন্তব্য করেছেন সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, ‘যারা এনার্জি সেক্টর খেয়েছে, তারাই আবার ফিন্যানসিয়াল সেক্টর খেয়েছে।’ শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার মহাখালীতে ‘পলিসি ডায়ালগ অন ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘মাসোহারা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে লোক রাখা হয়েছিল। তারা টাকা ছাপিয়েছে, ভুয়া রিজার্ভ দেখিয়েছে। ব্যাংক চালানোর মত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এমন ব্যক্তিকে ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়ে আছি। রাষ্ট্রের মেরামত যদি না হয়, দুই পয়সার সংস্কার করে কোন লাভ হবে না। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনা না গেলে, সংস্কারের পথে এগোনো সম্ভব নয়।’ উন্নয়নের বয়ানের ব্যবস্থা করা না গেলে এগোনো সম্ভব নয় জানিয়ে দেবপ্রিয় বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে প্রবৃদ্ধির তথ্য ও উপাত্তে মারাত্মক সমস্যা ছিল। তথ্যে রাজনীতিকীকরণ করা হয়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগ ছাড়া প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে, যেখানে ট্যাক্স জিডিপি বাড়েনি। ট্যাক্স নাই, বিনিয়োগ নাই আর দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখাতে গিয়ে সামাজিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য শিক্ষায় গুরুতর অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।’

ভবিষ্যতে কেউ টাকা পাচার করলেই ধরা পড়বে: সালেহ উদ্দিন

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভবিষ্যতে কেউ টাকা পাচার করলেই ধরা পড়বে। কেউ লুটপাট করলে তাঁকে শাস্তি পেতে হবে। প্রাইভেট কিংবা পাবলিক সেক্টর যেই হোক ধরা পড়বে।আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে ‘পলিসি ডায়ালগ অন ফিন্যানসিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনৈতিক খাতে যেভাবে লুটপাট হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে কাজ হচ্ছে। অর্থনীতিতে শুধু উন্নয়ন দেখানোর যে প্রবণতা, সেই উন্নয়ন কৌশল পরিবর্তন করতে হবে।ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানগুলোই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। অনেক প্রকল্প করা হয়েছে, ফিজিবিলিটি টেস্ট করা হয়নি। আদানির বিষয়ে কোনো করই দেওয়া হয়নি। আদানিকে টাকা দেওয়ার জন্যে সময় নেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, সংস্কারের ক্ষেত্রে মাল্টিলেটারাল, বাইলেটারাল সবাই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে, বিদেশি সহযোগীরাও সহায়তা কমিয়ে দেবে।সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের পক্ষে সব সংস্কার করা সম্ভব নয়। এই সরকার আর্থিক খাতে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি সংস্কার করবে। দীর্ঘমেয়াদি সংস্থার করবে রাজনৈতিক সরকার।’

পর্যায়ক্রমে বন্ধ থাকা সব চিনিকল চালু করা হবে: শিল্প উপদেষ্টা

দেশের বন্ধ থাকা চিনিকলগুলো পর্যায়ক্রমে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ চিনিকল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।এ সময় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. লিপিকা ভদ্র, দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুনসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শিল্প উপদেষ্টা বলেন, বন্ধ থাকা চিনিকলগুলো পুনরায় চালু করতে ফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে আখচাষিরাও সম্পৃক্ত আছেন। এগুলো চালু করতে আগে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।এখন আবারও ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। সেতাবগঞ্জ চিনিকল সম্ভাবনাময় একটি চিনিকল। এটি পুনরায় চালু করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আগে ২০২০ সালে বন্ধ হয় সেতাবগঞ্জ চিনিকলটি। এরপর থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও চালু হয়নি অন্যতম বৃহত্তম সেতাবগঞ্জ চিনিকল।

মূল্যস্ফীতির বড় কারণ আমদানিকৃত মূল্যস্ফীতি: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের মূল্যস্ফীতির একটি বড় কারণ আমদানিকৃত মূল্যস্ফীতি ... তা সত্ত্বেও, আমরা আমদানিকৃত জিনিসের ওপর শুল্ক কমিয়েছি ... টিসিবি প্রয়োজনে ট্রাক সেলের মাধ্যমে পরিধি বাড়াবে এবং আগামী ডিসেম্বর এবং তারপরও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকতে পারে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয়ে জাতীয় বার্তা সংস্থাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, চাঁদাবাজি, বাজারে কাঠামোগত কিছু সমস্যা থাকায় এক-দুই মাসে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তবে আমরা রমজানে ছোলা, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, খেজুর এবং সয়াবিন তেল নিশ্চিত করছি ... বিশ্ববাজারের কারণে চিনি, চাল এবং অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়েছে। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রমজানে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ডিম উৎপাদনে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশ্বস্ত করছি যে পবিত্র রমজান মাসে কোন ঘাটতি হবে না।’ ‘বেসরকারি আমদানিকারকরা চাল আমদানি না করলে খাদ্য অধিদপ্তর নিজস্ব ব্যবস্থায় টিসিবি কর্তৃক সয়াবিন তেলসহ সরবরাহ নিশ্চিত করবে,’ বলেন তিনি। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিগত শাসনামল থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া আর্থিক, পুঁজিবাজার ও ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতের সংকট নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। শ্বেতপত্র কমিটি, অর্থনীতি পুনঃকৌশলীকরণ কমিটি এবং অন্যান্য কমিটি গঠন ও কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, এসব খাতে সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে, অন্যথায় সংকট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আর্থিক খাত, ব্যাংকিং খাত এবং পুঁজিবাজার সংস্কার করা হচ্ছে। পুঁজিবাজার সংস্কার সম্পর্কে তিনি বলেন, বাজারের প্রবণতা পর্যবেক্ষণ ও সিকিউরিটিজ ট্রেডিংয়ে হেরফের রোধে একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ উৎসাহিত করার লক্ষ্যে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রি থেকে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধন লাভের ওপর কর হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। করের হার কমানোর আগে পাঁচ বছরের মধ্যে যেকোনো সময় লাভ হলে করদাতাদের ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধন লাভের ওপর ৩০ শতাংশ কর দিতে হতো। পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে আইসিবিকে ইতোমধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন সংশোধনমূলক ব্যবস্থা চলছে। এগুলো সবই একটি বার্তা দেওয়ার জন্য–করা না হলে আপনি সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নিতে পারবেন না।’ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকে অগ্রাধিকার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এডিপির অধীনে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোও পর্যালোচনা করছি। প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এবং উচ্চতর রিটার্নের হার রয়েছে এমন প্রকল্পগুলো এখন একনেকে রাখা হচ্ছে... চলমান প্রকল্পগুলোও অব্যাহত থাকবে।’ সরকার ঋণ পরিশোধে চিন্তিত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার ব্যবহারে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে এবং নিজের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তিনি বলেন, বাজেটে আরও চাপ আসতে পারে, তবে বাজেট সংশোধনের সময় বিশেষ করে উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রেখে তা পর্যালোচনা করা হবে। ড. সালেহউদ্দিন বলেন, এডিপিকে যতদূর সম্ভব ন্যায়সঙ্গত করা হবে। এটিকে বড় করা হবে না আবার এটি খুব ছোট করা হবে না। এডিপিকে খুব যৌক্তিক করা আমাদের সক্রিয় বিবেচনার মধ্যে রয়েছে। সূত্র: বাসস

বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম চড়া

শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। তবে গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও আলু।শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা শসা ৮০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি কক ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ২৮০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মুরগির দাম কিছুটা কমলেও স্বস্তিতে নেই ভোক্তা। মুরগির দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। গরুর মাংসের মতো মুরগির দাম নির্ধারণ করা উচিত বলেও মনে করেন তারা। বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি সিম ১০০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ছোট সাইজের ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা এবং জলপাই ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা কেজিতে ৫০ টাকা কমে ১৫০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাটা শাক ৩০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ১৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১২০ টাকা, কাঁচা আদা ১২০ টাকা এবং পুরোনো আদা ২৮০ টাকা, রসুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, বগুড়ার আলু ১০০ টাকা এবং পুরোনো আলু ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২৩০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ১৫০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ১৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা, কুড়াল মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে ৫ কেজি সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৬ থেকে ৮০ টাকা এবং নাজিরশাল ৭৫ থেকে ৮২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আবারও কমলো সোনার দাম

দেশের বাজারে আরো কমল সোনার দাম। এবার প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনা (২২ ক্যারেট) দাম কমেছে এক হাজার ৬৮০ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে এক লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকায়। আগামীকাল শুক্রবার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম কমার তথ্য জানায়।এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমিয়ে এক লাখ ২৮ হাজার ৩৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৯০ হাজার ২৩৩ টাকা করা হয়েছে।

এবার ১৯ বিলিয়নের নিচে নামলো রিজার্ভ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নামলো ১৮ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন এক হাজার ৮৪৩ কোটি ৭৫ লাখ ৮০ হাজার ডলারে (বিপিএম৬)। একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪১৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর সেপ্টেম্বর–অক্টোবর দুই মাসের এক দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার দায় পরিশোধ করার রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামলো। অবশ্য ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৩ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা ওপরে। আকু হলো আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তান মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে এর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে থাকে। গত সপ্তাহর শেষে নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২০ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম-৬) ডলার। আর মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার, বা দুই হাজার ৫৭২ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার ডলার। রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামা দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, রিজার্ভ চলমান একটি বিষয়। একবার কমবে, আবার বাড়বে। তবে এখন প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ইতিবাচক আছে, সাময়িকভাবে কমলেও আবার বাড়বে রিজার্ভ।

৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাচ্ছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন

রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) সরকার তিন হাজার কোটি টাকার ঋণের নিশ্চয়তা দিয়েছে। বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ সংক্রান্ত নিশ্চয়তাপত্র ইস্যু করেছে।এখন সরকারি নিশ্চয়তার বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণসুবিধা পাবে আইসিবি।চিঠি অনুযায়ী, আইসিবি প্রস্তাবিত ঋণ নিজেদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ করবে। এই টাকা তারা পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ও উচ্চ সুদে নেওয়া তহবিল পরিশোধে ব্যবহার করবে।এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয় নিশ্চয়তা দিয়ে জানিয়েছে, ঋণ বা ঋণের ওপর আরোপিত সুদ বা সুদাসল পরিশোধে আইসিবি ব্যর্থ হলে সরকার তা পরিশোধ করবে।অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে যে মুনাফা দেয় তা থেকে এই ঋণের অপরিশোধিত অংশ বা সুদ সমন্বয় করা যাবে না।

১৭ নভেম্বর থেকে আমন সংগ্রহ শুরু: খাদ্য উপদেষ্টা

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার খাদ্য অধিদপ্তরের এক সভায় বলেছেন, আগামি ১৭ নভেস্বর থেকে আমন ধানের সংগ্রহ শুরু হবে। এ বছর উত্তরাঞ্চলে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এটা আল্লাহর রহমত এবং অশেষ মেহেরবানি। ধারণ ক্ষমতা সন্তোষজনক পর্যায়ে আছে। অতিরিক্ত খাদ্য সংরক্ষণের জন্য তেজগাঁও বা অন্যান্য দিকে নিয়ে আসা হবে।আমদানি বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন কিছু খাদ্য আমদানি প্রক্রিয়াধীন আছে। ১.৫ লক্ষ টন খাদ্য আমদানির জন্য ইতোমধ্যে এলসি খোলা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ভালো আগ্রহ দেখছি। গত ১ সপ্তাহ পর্যন্ত চালের দাম যতটুকু বেড়েছে আপাতত তা স্থিতিশীল রয়েছে। আমন ধান বাজারে আসলে দাম আস্তে আস্তে কমবে বলে আশা করছি। তিনি আরও বলেন কৃষক যাতে ন্যায্য দাম পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদেরকে নিরুৎসাহিত করা যাবেনা।খাদ্যশস্য আমদানির লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, চাল সংগ্রের লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫ লক্ষ মেট্রিকটন, আতপচাল ১ লক্ষ মেট্রিকটন এবং ধান ৩.৫ লক্ষ মেট্রিকটন। চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ টাকা প্রতি কেজি, আতপচাল ৪৬ টাকা প্রতি কেজি এবং ধান ৩৩ টাকা প্রতি কেজি।মিল মালিকদের সিন্ডিকেট বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, যারা সিন্ডিকেট করে তাদের কালো তালিকাভূক্ত করে ভবিষ্যতে তাদের সাথে আর চুক্তি করা হবেনা। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় সতর্ক থাকবে এবং প্রয়োজনে শাস্তির ব্যবস্থা করবে। এখন ছোট মিলগুলি বড় মিলে রূপান্তরিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে চুক্তি কমে যাবে। মিলগুলি আজ বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। ভোগান্তির বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন সরকারকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন, সরকার প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিবে।চালের বাজার কর্পোরেট গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে কিনা এ বিষয়ে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন চাল আমদানি নির্ভর না, চালের চাহিদা ও উৎপাদন প্রায় কাছাকাছি।চাল আমদানিতে সরকার কতজনকে অনুমতি দিয়েছে এ প্রশ্নের জবাবে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সরকার ১৩৪ জন ব্যবসায়ীকে ১০.৫২ লক্ষ মেট্রিকটন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে।অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মাসুদুল হাসান ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ভিসা পেমেন্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস পেল ইসলামী ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি তিনটি ক্যাটাগরিতে ভিসা পেমেন্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪ পেয়েছে। কার্ডে সর্বোচ্চ লেনদেনের জন্য “এক্সিলেন্স ইন কনজ্যুমার কার্ডস্-ডেবিট”, “এক্সিলেন্স ইন ইসলামিক ব্যাংকিং কার্ডস” ও “এক্সিলেন্স ইন ই-কমার্স পেমেন্ট” এ পুরস্কার অর্জন করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ভিসা লিডারশিপ কনক্লেভ-২০২৪ অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)-এর এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের নিকট থেকে ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মজনুজ্জামান, মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও মোঃ মোশাররফ হোসেন অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ইউএস অ্যাম্বেসি ঢাকা অফিসের ফরেন সার্ভিস অফিসার জেমস গার্ডিনার, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট-এর ডাইরেক্টর রাফেজা আক্তার কাšতা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল উদ্বোধন

যশোরের বেনাপোলে ভেহিক্যাল টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এ স্থল বন্দরে তিনি এ টার্মিনাল উদ্বোধন করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। উদ্বোধনকালে উপদেষ্টা বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে স্থলপথের সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ বন্দরের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০টি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক এবং ৪৫০ থেকে ৫০০টি বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে আগমন করে। কিন্তু বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের পর ব্যবহারযোগ্য কোনো টার্মিনাল না থাকায় অধিকাংশ পণ্যবাহী ট্রাক সড়কের ওপর অবস্থান করতো। ফলে সেখানে সার্বক্ষণিক যানজটের কারণে স্বাভাবিক আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হতো। নবনির্মিত কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালটি নির্মাণের ফলে পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের পর এ টার্মিনালে নিরাপদে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে বেনাপোল স্থলবন্দরের দক্ষতা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে এবং আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত যানের টার্নরাউন্ড টাইম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে। একইসঙ্গে বন্দরের যানজট নিরসন হবে এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। উপদেষ্টা কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল উদ্বোধন ও পরিদর্শন শেষে দুপুরে স্থলবন্দরের কর্মকর্তাকর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়। মতবিনিময় সভায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা স্থলবন্দরের ইক্যুইপমেন্ট সরবরাহ, আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধিকরণ, বন্দরের অভ্যন্তরে যানজট নিরসন, নতুন ওয়্যারহাউজ/শেড নির্মাণ, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইক্যুইপমেন্ট হ্যান্ডলিংয়ের ব্যবস্থাকরণ, বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি দুর্নীতি নির্মূলকরণ ও বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় অংশের চেয়ে উন্নত সেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বেনাপোল স্থলবন্দরে নবনির্মিত কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালটি ৪১ একর জমি অধিগ্রহণ করে নির্মাণ করা হয়েছে। টার্মিনালটিতে একসঙ্গে প্রায় ১৫০০টি ট্রাক ধারণের সক্ষমতা রয়েছে। এখানে পার্কিং ইয়ার্ড, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, সব সংস্থার কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য কার্গো ভবন, টার্মিনাল ব্যবহারকারীদের বন্দর সেবা ভবন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আধুনিক ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা ও সিসিটিভি স্থাপন, আধুনিক মানের ওয়াশ ব্লক, ১০০ মেট্রিক টন ক্ষমতার ওয়েব্রিজ স্কেল ও ড্রেনেজ সিস্টেমসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের লক্ষে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যানজট নিরসন এবং স্থলপথে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে ২০২২ সালে ৩২৯.২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ আরম্ভ করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান ও যশোর জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলাম।

সাফা থেকে পুরস্কার অর্জন করল শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ২০২৩ সালের সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য সাউথ এশিয়া ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্টস (সাফা) থেকে ৩টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ব্যাংকটির জেএভিপি অ্যান্ড ইনচার্জ (চলতি দায়িত্ব), পিআরডি কে. এম. হারুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি সার্ক অ্যানিভার্সারি অ্যাওয়ার্ড ফর কর্পোরেট গভার্নেস ক্যাটাগরিতে ১ম পুরস্কার (গ্লোড অ্যাওয়ার্ড), প্রাইভেট সেক্টর ব্যাংকস ক্যাটাগরিতে ২য় পুরস্কার (সিলভার অ্যাওয়ার্ড) এবং ইন্টাগ্রেটেড রিপোর্টিং ক্যাটাগরিতে সার্টিফিকেট অব মেরিট অর্জন করেছে।গত ১১ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এম. সাইফুল ইসলাম এবং ব্যাংকের সিএফও মোঃ জাফর ছাদেক, এফসিএ শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. পি. নন্দলাল বীরাসিংহের নিকট থেকে উক্ত পুরস্কারসমূহ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সাউথ এশিয়া ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্টসের সভাপতি হিসানা করুপ্পু-সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।